পরের সপ্তাহে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট দিয়ে মাঠে ফেরার আশা করেছিলেন জফরা আর্চার। এর আগে সাসেক্সের দ্বিতীয় একাদশের হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলার কথা ছিল। সে আশা পূর্ণ হলো না তাঁর। উল্টো মৌসুমই শেষ হয়ে গেছে ইংল্যান্ড ফাস্ট বোলারের। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জানিয়েছে, পিঠের নিচের অংশে ‘স্ট্রেস ফ্র্যাকচার’-এর কারণে এ মৌসুমে আর দেখা পাওয়ার আশা নেই আর্চারকে ঘিরে।
এক বিবৃতিতে ইসিবি জানিয়েছে, ‘তার ফিরে আসার কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। সামনের দিনগুলোতে বিশেষজ্ঞদের মত নেওয়ার পর তার চোট ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করা হবে।
চোটের কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই মাঠের বাইরে আছেন আর্চার। নতুন এ চোটে আরেকবার শঙ্কার মুখে পড়ে গেল আর্চারের ক্যারিয়ার। এর আগে আর্চার নিজেই স্বীকার করেছিলেন, চোটের কারণে একপর্যায়ে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। চোটের কারণে শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই দেখা যাবে এখন পর্যন্ত ১৩ টেস্টে ৪২ উইকেট নেওয়া আর্চারকে, সে শঙ্কা সামনে এল আরেকবার।
২৭ বছর বয়সী আর্চার ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন গত বছরের মার্চে—ভারতের বিপক্ষে আহমেদাবাদে টি-টোয়েন্টিতে। এরপর জুলাইয়ে সাসেক্সের হয়ে ঘরোয়া ওয়ানডে কাপের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ ও টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের একটি ম্যাচে খেলেন। এরপর আবার ছিটকে পড়েন।
গত ১৪ মাসে তিন দফা অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে তাঁর। একবার হাত থেকে কাচের টুকরা সরাতে, বাকি দুবার কনুইয়ে ভিন্ন চোটের কারণে। ইংল্যান্ডের সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছিলেন আর্চার। চোটের কারণে এ মৌসুমে পাওয়া যাবে না জানার পরও ৮ কোটি ভারতীয় রুপিতে তাঁকে কেনে আইপিএলের মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় ইংল্যান্ড পেসার হিসেবে এ চোটে পড়লেন আর্চার। এর আগে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে সাকিব মাহমুদের, চার সপ্তাহের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে ম্যাট ফিশারকে। চোট ও অসুস্থতার কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের দলে নেই মার্ক উড, ওলি স্টোন, ক্রিস ওকস, স্যাম কারান, ওলি রবিনসন।
পেসারদের চোট নিয়ে নিজের শঙ্কার কথাও জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের ছেলেদের ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব কি, ‘এটা অবশ্যই চিন্তার ব্যাপার। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, কেন এমন ঘটছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, যাতে আবারও না হয়। তবে ফাস্ট বোলারদের ক্ষেত্রে তো এমন হয়েই থাকে, স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের ব্যাপারটি।’