‘আরও এক ধাপ কাছে...।’
কাল রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠার পর টুইটটি করেন রবার্ট লেভানডফস্কি। লিওঁর বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখের ৩-০ গোলের জয়ে তাঁরও অবদান আছে। হেডে শেষ গোলটি করেন পোলিশ স্ট্রাইকার। দল ফাইনালে উঠল, নিজেও গোল পেলেন—খুব স্বাভাবিকভাবেই চনমনে মেজাজে থাকার কথা লেভার। তবে বাকি থাকা শেষ কাজটা যে মাথায় গেড়ে বসেছে এখনই সেটি তাঁর টুইটেই পরিষ্কার। ফাইনালের যুদ্ধ এখনো বাকি।
সেখানেও জিতলে মোটামুটি এ মৌসুমে ‘মধুরেণ সমাপয়েৎ’-ই হয় লেভার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বায়ার্নের হয়ে ৫৫ গোল করলেন তিনি। মৌসুমজুড়ে দুর্দান্ত ফর্মটা তাঁর এ গোলসংখ্যাতেই পরিষ্কার। চ্যাম্পিয়নস লিগেও তাঁকে ঠেকানো যায়নি। এ মৌসুমে ১৫ গোল হয়ে গেল লেভার। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এর আগে শুধু একজন খেলোয়াড়ই এক মৌসুমে লেভার গোলসংখ্যা ছুঁতে পেরেছেন। বলা ভালো, টপকেও গেছেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো!
চ্যাম্পিয়নস লিগে ২০১৭-১৮ মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৫ গোল করেছিলেন রোনালদো। ২০১৫-১৬ মৌসুমেও সর্বোচ্চ ১৬ গোল করেছিলেন তিনি। আর তার আগে ২০১৩-১৪ মৌসুমে করেছিলেন ১৭ গোল। এটি চ্যাম্পিয়নস লিগের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। অর্থাৎ রোনালদোর রেকর্ড ছুঁতে আরও ২ গোল চাই বায়ার্ন তারকার। হাতে আছে এক ম্যাচ—রোববার পিএসজির বিপক্ষে ফাইনাল!
লেভার অর্জনের এখানেই শেষ নয়। চ্যাম্পিয়নস লিগে এবার গোলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন বায়ার্ন স্ট্রাইকার। এ নিয়ে টানা ৯ ম্যাচে গোল করলেন তিনি। এ টুর্নামেন্টে শুধু দুজন খেলোয়াড় তাঁর সমান টানা ম্যাচে গোল করতে পেরেছেন। ২০১৮ সালে টানা ১১ ম্যাচে গোলের রেকর্ড গড়েছিলেন রোনালদো। লেভার সমান টানা ৯ ম্যাচে গোলের রেকর্ড আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডাচ স্ট্রাইকার রুড ফন নিস্টলরয়।
তাঁর সামনে রেকর্ড গড়ার হাতছানি থাকলেও বায়ার্ন কোচ হান্সি ফ্লিকের চাওয়া কিন্তু অন্যরকম। শিষ্য যে ব্যক্তিগত রেকর্ডে বেশি মনোযোগী হবে না তেমন বিশ্বাসই রাখলেন বায়ার্ন কোচ, ‘সে এসব নিয়ে ভাববে না। দলের জন্য সে অনেক পরিশ্রম করে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে সে বিশ্বের সেরা সেন্টার ফরোয়ার্ড। আশা করি সে প্যারিসের বিপক্ষেও গোল করবে।’