প্যারিসে গত রাতে রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুলের লড়াই দেখতে হাজির হয়েছিলেন ৭৫ হাজারেরও বেশি দর্শক। যার মধ্যে শুধু সাধারণ মানুষই নন, 'অসাধারণ' অনেকেই ছিলেন। গ্যালারিতে জমেছিল তারার মেলা। কে কে এসেছিলেন ফাইনাল দেখতে? বাছাই করা কয়েকটি ছবি দেখে নেওয়া যাক!
প্রিয় দল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে, খেলবে নিজের দেশের মাটিতে, জিনেদিন জিদান কীভাবে ঘরে বসে থাকতেন? স্ত্রী ভেরোনিক জিদান আর ছেলে লুকা জিদানকে নিয়ে দেখতে এসেছিলেন সালাহ-বেনজেমাদের লড়াই। ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন রিয়ালের সাবেক ব্রাজিলিয়ান তারকা রোনালদো। এসেই হুট করে দেখা হয়ে গেল টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল ও ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা ইয়ুরি ডিউরকাফের সঙ্গে। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বসেছিলেন উয়েফার সভাপতি আলেকসান্দর সেফেরিন ও লিভারপুলের মালিক জন ডব্লিউ হেনরিকে দুপাশে নিয়ে। রিয়ালের চার তারকা সাবেক তারকা আলভারো আলবেরোয়া, আমানসিও, রবার্তো কার্লোস ও ইকার ক্যাসিয়াস ম্যাচের আগে থেকেই উদযাপনে মত্ত ছিলেন সমর্থকদের সঙ্গে। আরবেলোয়া আবার এককালে লিভারপুলেও খেলতেন। প্রিয় দলের প্রিয় কোচকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে এসেছিলেন ব্রাজিল তারকা কাকা। চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি বহন করার গুরুভার দেওয়া হয়েছিল দুই দলের দুই কিংবদন্তি রাউল ও ইয়ান রাশ কে।দর্শকসারিতে ছিলেন স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফেলিপে। প্রিয় দল লিভারপুলের খেলা দেখতে এসেছিলেন দলকে ২০০৫ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো কিংবদন্তি স্টিভেন জেরার্ড। গ্যালারিতে দেখা গেল বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক তারকা অলিভার কানকে। হেইসেল বিপর্যয়ে প্রাণ হারানো সমর্থকদের শ্রদ্ধা জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল লিভারপুল কিংবদন্তি কেনি ডালগ্লিশকে। চলছে রোলাঁ গারোঁ, কিন্তু নাদাল কীভাবে প্রিয় দলের খেলা না দেখে থাকতে পারেন?লিভারপুলের সমর্থক, শেয়ারের মালিক ও বাস্কেটবল কিংবদন্তি লেব্রন জেমস এসেছিলেন খেলা দেখতে। যদিও হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছে তাঁকে। রিয়ালের সাবেক মিডফিল্ডার ক্লদ ম্যাকেলেলে এসেছিলেন। পরে তাঁকে দেখা গিয়েছিল স্বদেশি এরিক আবিদাল, স্পেনের ফার্নান্দো মরিয়েন্তেসদের সঙ্গে খেলা উপভোগ করতে। ব্যালন ডি'অরজয়ী সাবেক ডিফেন্ডার ফাবিও কানাভারো খুশি হয়েছেন সাবেক ক্লাবের জয়ে। ম্যাচ শুরুর ছবি, ম্যাচ শেষে রিয়াল কিংবদন্তি রাউলের হাসিটা আরও চওড়া হয়েছে। মাদ্রিদের প্রতি ভালোবাসা প্যারিসে টেনে এনেছিল মেসুত ওজিলকেও