পিকেও মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালান!

নিয়ম না মেনে গাড়ি চালিয়ে ঝামেলায় পিকে। ছবি: টুইটার
নিয়ম না মেনে গাড়ি চালিয়ে ঝামেলায় পিকে। ছবি: টুইটার
>

মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়ে বার্সেলোনা শহরের রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন জেরার্ড পিকে। বার্সেলোনা তারকা এর আগেও এমন ঝামেলায় পড়েছেন

নিরাপদ সড়কের দাবিতে গাড়ির লাইসেন্স চেক করা নিয়ে কিছুদিন আগে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। তখন বোঝা গিয়েছিল দেশে মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সের গাড়িচালকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনেকে মনে করেন, দেশের বাইরের পরিস্থিতি বোধ হয় ভিন্ন। সেটি অবশ্যই গবেষণার বিষয়। তবে বহির্বিশ্বে, এমনকি ক্রীড়াজগতের বড় তারকারাও এই দোষে দুষ্ট। জেরার্ড পিকের কথাই ধরুন। তাঁর গাড়ি চালানোর লাইসেন্সও মেয়াদোত্তীর্ণ!

স্প্যানিশ রেডিও ক্যাডেনা এসইআর জানিয়েছে, বার্সেলোনার নগর নিরাপত্তাকর্মীরা (আরবান গার্ড) পিকের বিপক্ষে মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালানোর অভিযোগ গঠন করেছেন। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পিকের গাড়ি থামিয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁর কাগজপত্র দেখতে চান। বার্সেলোনা তারকা তাঁর লাইসেন্স দেখালে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তা যাচাই করতে গিয়ে গড়বড় খুঁজে পান। পিকের লাইসেন্সে কোনো পয়েন্ট নেই!

স্পেনে গাড়িচালকদের লাইসেন্সে ১২ পয়েন্ট থাকে। ট্রাফিক আইন অমান্য করলে অপরাধের মাত্রার ভিত্তিতে পয়েন্টও কাটা পড়ে। অতীতে পিকে আইনভঙ্গ করায় তাঁর লাইসেন্সও সব পয়েন্ট হারিয়েছে। স্প্যানিশ আইন অনুযায়ী, লাইসেন্সে পয়েন্ট না থাকলে সেটি মেয়াদোত্তীর্ণ এবং এই লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালানো অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে পিকের ছয় হাজার ইউরো জরিমানা অথবা ছয় মাসের জেল হতে পারে।

রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে পিকের ঝামেলায় পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। ২০১৪ সালের অক্টোবরে বার্সেলোনার রাস্তায় এক নগর নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে ১০ হাজার ইউরো জরিমানা গুনেছিলেন স্পেনের সাবেক এই ডিফেন্ডার। এ ছাড়া ২০১১ সালে নিয়ম মেনে গাড়ি না চালানোয় জরিমানা দিতে হয়েছিল হয়েছিল তাঁকে।