পাকিস্তান সফরে গিয়েছে, এর প্রতিদান চান ওয়াসিম।
পাকিস্তান সফরে গিয়েছে, এর প্রতিদান চান ওয়াসিম।

পাকিস্তানে গিয়ে দায় মেটাতে বললেন ওয়াসিম

সাউদাম্পটন টেস্টটার ভাগ্যে ড্র ছাড়া আর কিছু লেখা নেই। আজ ক্রিকেটের প্রথম দিককার দিনগুলো ফিরে এলেই শুধু এ টেস্টে কোনো দলের পক্ষে জয়ী হওয়া সম্ভব। তবু অনেকে সান্ত্বনা পাচ্ছেন, আর কিছু না হোক টেস্ট ক্রিকেট তো ফিরেছে। আর সফরে এসে ইংল্যান্ডে ক্রিকেট ফেরানোয় অবদান রেখেছে পাকিস্তানও। ওয়াসিম আকরাম চাচ্ছেন, এই অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা হিসেবে এবার পাকিস্তানেও সফরে যাক ইংল্যান্ড।

২০০৫-০৬ সালে সর্বশেষ পাকিস্তান সফর করেছে ইংল্যান্ড। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর তো সব দলই পাকিস্তান সফর বাতিল করেছে। অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দুয়ার খুলেছে তাদের। জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে পাকিস্তান ঘুরে এসেছে। পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপের মাঝেও ইংল্যান্ডে এভাবে সফর করতে রাজি হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানও কিন্তু বেশ সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। ৩৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। যুক্তরাজ্য করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি, তবু তাদের বোর্ডের দেওয়া নিরাপত্তা বলয়ে আস্থা রেখে সফর করছে পাকিস্তান।

কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামের আশা বিপদে পাকিস্তান যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তা মনে রাখবে ইংল্যান্ড। পাকিস্তান যে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত সেটা যে ইংলিশ ক্রিকেটাররাও জানেন এমনটাই দাবি তাঁর। স্কাই স্পোর্টসকে ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, ‘তোমাদের (ইংল্যান্ড) পাকিস্তান ক্রিকেট ও দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। কারণ ওরা এখানে সফরে এসেছে। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার-অ্যালেক্স হেলস ও ক্রিস জর্ডান এবার করাচি কিংসের হয়ে পাকিস্তান সুপার লিগে খেলেছে। ওদের বেশ ভালো লেগেছে, উপভোগ করেছে। ওদের দারুণ দেখেশুনে রেখেছে সবাই। আমি এ ব্যাপারে পাকিস্তান সরকার, বোর্ড ও পাকিস্তান দল ও কর্মীদের কৃতিত্ব দিতে চাই।’

এদিকে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দলের সদস্য মঈন আলীও পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। পাকিস্তানের মানুষদের ভালোবাসা পেয়ে মুগ্ধ এই অলরাউন্ডার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে খেলা মঈনের দাবি, এমন ভালোবাসা খুব কমই জোটে ক্রিকেটারদের, ‘এমন না যে আপনি পারফরম্যান্সের জন্য আপনাকে সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছে। সবাই বলে, “এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ”। ওরা শুধু চায় , আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা সেখানে যাক এবং ওদের ক্রিকেট সংস্কৃতির অংশ হোক। ব্যাপারটা অসাধারণ।’