নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরপরই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন শ্রীলঙ্কার দানুশকা গুনাতিলাকা। ৩০ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান আপাতত সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে চান। সম্প্রতি ৩০ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার আরেক ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপক্ষে।
সব মিলিয়ে ৮ টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বশেষটি গুনাতিলাকা খেলেছিলেন ২০১৮ সালে। তবে এখন টেস্টে আর ফিরতে চান না। ২টি অর্ধশতকে টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৬৬ রান করেছেন তিনি। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর থেকে ৪৪টি ওয়ানডের সঙ্গে এখন পর্যন্ত ২০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
অবশ্য ক্যারিয়ারজুড়েই আচরণবিধি ভাঙার দায়ে খবর হয়েছেন গুনাতিলাকা। শাস্তিও পেয়েছেন তিনবার, যার সর্বশেষটি এসেছিল গত বছরের জুলাইয়ে। ইংল্যান্ড সফরের সময় জৈব সুরক্ষাবলয় ভাঙার দায়ে কুশল মেন্ডিস ও নিরোশান ডিকভেলার সঙ্গে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন গুনাতিলাকা। ডারহামে রাতের বেলা হোটেলের বাইরের রাস্তায় দেখা গিয়েছিল তাঁদের, যদিও সে সময় জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকার কথা ছিল তাঁদের।
তবে শাস্তির ছয় মাস না পেরোতেই সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁদের। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট জানিয়েছে, এ তিন ক্রিকেটারের অনুরোধেই শাস্তি মওকুফ করা হয়েছে। অবশ্য আগামী দুই বছরের জন্য থাকবে স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। এর মাঝে আচরণবিধি ভাঙলে আবারও বাকি ছয় মাসের শাস্তি কাটাতে হবে তাঁদের।
‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের কাছে নিষেধাজ্ঞার শাস্তি তুলে নেওয়ার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ শেষের পর সর্বশেষ সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। এমন অনুরোধের পর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট নিযুক্ত চিকিৎসকদের কাছ থেকে কাউন্সেলিংয়ের রিপোর্ট দেখেছে’, এক বিবৃতিতে বলেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। নিষেধাজ্ঞার সময় তিন ক্রিকেটারকেই যেতে হয়েছে কাউন্সেলিংয়ের ভেতর দিয়ে।
ফিটনেস টেস্টে উতরে যাওয়া সাপেক্ষে এখন তিনজনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য বিবেচ্য হবেন। অবশ্য তাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছিলেন আগেই। সর্বশেষ লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগেও (এলপিএল) খেলেছেন তাঁরা। ২০২০ সালের এলপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেও এবার তেমন কিছু করতে পারেননি গুনাতিলাকা। শুরুটা দারুণ করেও ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি ডিকওয়েলা। তবে ফাইনালে ওঠা গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে দারুণ মৌসুম কাটিয়েছেন মেন্ডিস, করেছেন সর্বোচ্চ ৩২৭ রান।