আরব আমিরাতে দুঃসহ এক সময় পার করে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটি ছিল দলটির আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার সুযোগ। প্রায় পূর্ণ শক্তির প্রোটিয়া দলকে প্রস্তুতি ম্যাচে অনায়াসে হারিয়ে বিশ্বাসও জাগিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত একাদশ। কিন্তু সিরিজের প্রথম ওয়ানডের পর মনে হচ্ছে, জাতীয় দলের বদলে প্রস্তুতি ম্যাচের দলটিই হয়তো খেলতে নামলে ভালো করত। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। সফরকারীদের ইনিংসের ১২৪ বল অব্যবহৃত ছিল।
পরাজয়ের এ ব্যবধানও ম্যাচের আসল চিত্র তুলে ধরতে পারছে না। তৃতীয় ওভারে তিন বলের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নিয়ে যে তাণ্ডবের সূচনা করেছিলেন ডেল স্টেইন, তারই পূর্ণতা দিয়ে দিচ্ছিলেন আন্দিলে ফিকোয়াও। স্টেইন, লুঙ্গি এনডিডি, ফিকোয়াওর পেসের সামনে পার্থের উইকেটে নাকাল হয়ে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। ৬৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল দলটি। একমাত্র অ্যালেক্স ক্যারি দাঁতে দাঁত চেপে উইকেটে পড়েছিলেন।
৭১ বলে ৩৩ রান করে টেস্টের স্বাদ দেওয়া ক্যারিও ফিরেছেন ৩২তম ওভারে। দলের অষ্টম ব্যাটসম্যান হয়েছে ক্যারি যখন ফিরছেন, অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তখন ১০৭। রানটা যে দেড় শ পার হয়েছে, এর কৃতিত্ব নাথান কোল্টার-নাইল ও মিচেল স্টার্কের। নবম উইকেটে ৩৩ রান যোগ করে স্টার্ক (১২) ফিরে গেলেও কোল্টার-নাইল আউট হয়েছেন দলকে দেড় শ করার পরপরই। ৩১ বলে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন পেসার কোল্টার-নাইল। তাঁর ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ১ ছক্কা।
অস্ট্রেলিয়ার ১৫২ রান তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আট ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই পঞ্চাশ পেরোনো দলটি তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে ১৯তম ওভারে। এর আগেই অবশ্য ফিরে গেছেন কুইন্টন ডি’কক। ৭ চারে ৪০ বলে ৪৭ রান করা ডি কক ফিরেছেন ওই কোল্টার-নাইলের বলেই। এর পর মার্কাস স্টয়নিস ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রান তোলার গতিটা একটু কমিয়েছেন। কিন্তু জয়ের পথে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত করা যায়নি।