মেসি গোল করেন, গোল বানিয়েও দেন। যেন পুরো দলের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। এমন নয় যে, মাঠে অন্তহীন ছুটে বেড়ান। মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে পড়েন, ছোট ছোট পায়ে হেঁটে বেড়ান। এই বিশ্বকাপে যেন একটু বেশি করেই দৃশ্যটা চোখে পড়ছে। কেন? বলের জোগান তেমন পাচ্ছেন না। দলকে জেতাতে শেষ মুহূর্তে তাঁকে বের করতে হচ্ছে জাদুর চেরাগ।
মেসি এই যে মাঝে মাঝে একা হয়ে পড়ছেন মাঠে, সেটি চোখে পড়ছে তাঁর সতীর্থ অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ারও। রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার তাই বলেছেন, ‘মেসিকে আরও বেশি সমর্থন দিতে হবে আমাদের।’ মেসির পাশে দাঁড়ানোর কথা তো ডি মারিয়ারও। তিনি তাঁর প্রতিভাধর অধিনায়ককে যদি ঠিকমতো বলের জোগান দেন বা তাঁর সঙ্গে বোঝাপড়াটা বাড়ান, তাহলে তো আর্জেন্টিনার গোলের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। ডি মারিয়া নিজেও কি প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছেন? চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের আগ্রাসী, সুযোগসন্ধানী, সৃজনশীল ডি মারিয়া তাঁর ছায়া হয়ে রইলেন বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচে। ডি মারিয়ারা যদি মেসিকে যোগ্য সাহচর্য না দিতে পারেন, তাহলে বহু আরাধ্য বিশ্বকাপ ট্রফি অন্য কোনো দলের হাতেই দেখতে হবে আর্জেন্টিনাকে। মেসি তো প্রতিদিনই তাঁর জাদু দেখাতে পারবেন না! বসনিয়া ও ইরানের বিপক্ষে যেভাবে অসাধারণ দুটি গোলে জয় ছিনিয়ে এনেছেন, সেভাবে পারবেন না প্রতি ম্যাচে। একটা দল হিসেবে খেলতে হবে, দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিতে হবে। প্রতিদিন মেসির ঝলকেই পার পেয়ে যাবে আর্জেন্টিনা, এমনটা ভাবেন না ডি মারিয়া নিজেও। তাই ইরানের বিপক্ষে ‘ম্রিয়মাণ’ জয়ের দায়টা নিজেদের কাঁধেও নিচ্ছেন ডি মারিয়া, ‘এল পিপা (হিগুয়েইন) সামান্য চোটে ভুগছে। বিশ্বকাপের আগে দুই ম্যাচে খেলতে পারেনি ও। কুনকে (আগুয়েরো) চোটের সঙ্গে লড়তে হয়েছে। যখন ওদের মতো খেলোয়াড়েরা চোটে ভোগে, তা দল এবং দলের খেলার ধরনকে প্রভাবিত করবেই।’ এএফপি।