ক্রিস গেইলের জীবনটাকে সম্ভবত দুটি শব্দ দিয়েই ব্যাখ্যা করা যাবে—পার্টি আর ক্রিকেট। আরও এক শব্দ কমিয়ে শুধু ‘বিনোদন’ দিয়েও ব্যাখ্যা করা যায়। মাঠে হোক আর মাঠের বাইরে, গেইল যেন বিনোদনকেই করেছেন জীবনের ধ্রুবতারা।
গতকাল সুপার টেনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটার কথাই ধরুন না। মাঠে ছক্কার বন্যা বইয়ে দিয়ে ৪৮ বলে অপরাজিত ১০০ করেছেন, ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৮৩-রানের লক্ষ্যটাকেও কেমন মামুলি বানিয়ে ছেড়েছেন। অথচ তার আগের দিন কী করেছেন গেইল? অন্য অনেকে হয়তো ম্যাচের পরিকল্পনা করে সময় কাটান, কেউবা ধ্যানমগ্ন হয়ে কিংবা ঘুমিয়ে। গেইল ওসবের ধার ধারেন না। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগের রাতেই সারা রাত পার্টি করেছেন বলিউড অভিনেত্রী স্নেহা উল্লালের সঙ্গে।
শুধু গেইলই নন। সঙ্গে ছিলেন ডোয়াইন ব্রাভোও। বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের থিম সং করা হয়েছে ব্রাভোর গাওয়া ‘চ্যাম্পিয়ন’ গানটিকে। সেটিরই প্রকাশনা ছিল পরশুর পার্টিতে। যাতে সারা রাত নেচে-গেয়ে উদযাপন করেছেন গেইল-ব্রাভোরা।
আগের দিন নিজে অমন নাচলেন-গাইলেন, পরের দিন নাচালেন মুম্বাইয়ের দর্শকদের। অবশ্য এই বিনোদনই তো তাঁর একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। কাল সেঞ্চুরির পর গেইল নিজেই জানালেন খুনে ব্যাটিংয়ের রহস্য, ‘ম্যাচের আগে বেন (সুলিমান বেন) আমাকে বলেছিল, ব্যাটিংয়ে ওকে বিনোদন দিতে। ওটাই আমাকে প্রভাবিত করেছে। আমিও তো তা-ই চাই, বিশ্বজুড়ে দর্শকদের বিনোদন দিয়ে যেতে। ওটাই আমার লক্ষ্য।’
লক্ষ্যে বেশ সফলই বলতে হবে গেইলকে। শুধু ওয়াংখেড়ের দর্শকই কেন, টিভির পর্দার সামনে বসা লাখো কোটি দর্শকও তো কাল পূর্ণ বিনোদিত হয়েছেন তাঁর ব্যাটিংয়ে। মজাটা হলো, গেইলও নিজেও নিজেতে মুগ্ধ। এতটাই যে, নিজেকে পুরো ‘বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রাজা’ ঘোষণা করে রেখেছেন ক্যারিবীয় হার্ড-হিটার, ‘আসলে পুরো বিশ্ব দেখছিল, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রাজাকে তাই কিছু তো দেখাতেই হতো। গেইল-শক্তিই আজ (কাল) ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিল।’
ক্রিকেটপ্রেমীদের চাওয়া, এভাবেই নিজেকে ও দর্শকদের বিনোদন দিয়ে যান গেইল। সূত্র: জি নিউজ।