>করোনভাইরাসের প্রকোপে যেখানে একের পর এক ক্রীড়া ইভেন্ট স্থগিত হয়ে যাচ্ছে, সেখানে অলিম্পিক স্থগিত করা হবে কি না?
করোনা মহামারিতে বৈশ্বিক ক্রীড়াঙ্গন স্থবির হয়ে পড়েছে। কি ফুটবল, কি ক্রিকেট, কি টেনিস বা অন্য খেলা—একে এক সব টুর্নামেন্টই স্থগিত করা হচ্ছে, নয়তো পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু টুর্নামেন্ট তো বাতিলই হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের কালো থাবা ক্রীড়াজগতে ভালোভাবেই পড়েছে। এই থাবা পড়তে পারে আগামী জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টোকিও অলিম্পিকের ওপরেও।
করোনাভাইরাস আঘাত হেনেছে জাপানেও। তবে সংক্রমণ অলিম্পিককে আটকে রাখতে পারবে না বলে মনে করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। চলতি মাসের ২৬ তারিখে ফুকুশিমা জেলায় অলিম্পিকের মশালদৌড় শুরু হওয়ার মধ্যে দিয়ে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জাপান পর্বের সূচনা দেখার আশা করছেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিকই অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করেছেন আবে, ‘আশা করছি আমরা খুবই তাড়াতাড়ি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকে রাখতে পারব এবং কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী টোকিও অলিম্পিক আয়োজন করতে পারব।’
তবে এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রী।
টোকিও অলিম্পিক কমিটি ও জাপান সরকার অলিম্পিকের আয়োজন নিয়ে এখনো আশাবাদী। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি চাইছে নির্ধারিত সময়েই অলিম্পিক যেন অনুষ্ঠিত হয়, তা নিশ্চিত করে নিতে। কারণ, তা করতে না পারলে হাজার কোটি ডলারের টেলিভিশন সম্প্রচার চুক্তি বজায় রাখা সম্ভব হবে না। এর ফলে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে বিশাল অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এদিকে ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে দর্শকের উপস্থিতি ছাড়াই গত বৃহস্পতিবার গ্রিসের প্রাচীন অলিম্পিয়ায় হয়ে গেছে টোকিও অলিম্পিকের মশাল প্রজ্বালন। অন্যদিকে, বিভিন্ন দেশের সরকার করোনাভাইরাসের বিস্তারের মুখে অলিম্পিক স্থগিত রাখার আওয়াজ তুলছে। ফলে টোকিও অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত।