শেষবারের মতো ওল্ড ট্রাফোর্ডের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ২৬ বছরের বর্ণাঢ্য কোচিং ক্যারিয়ারের শেষটা যেন জয় দিয়েই হয়, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল ফার্গির ভক্তদের। সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। কিছুটা কষ্ট করে হলেও নিজেদের মাঠে শেষ ম্যাচটি জয় দিয়েই শেষ করতে পেরেছেন অ্যালেক্স ফার্গুসন। রিও ফার্ডিনান্দের শেষ মুহূর্তের গোলে গতকাল সোয়ানসে সিটির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিজের শেষ ম্যাচে দর্শক-সমর্থকদের বিপুল করতালি-অভিবাদনের মধ্য দিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন ফার্গুসন। ইংল্যান্ডের শীর্ষ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে এটি ছিল তাঁর ১৪৯৯তম ম্যাচ। প্রবল বৃষ্টির মাঝে মাঠে প্রবেশের সময় দুই দলের খেলোয়াড়েরা গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানান ফার্গুসনকে। ম্যাচ শেষে আবারও একটি মাইক্রোফোন নিয়ে মাঠে আসেন ক্লাব ফুটবলের সেরা এই কোচ। এ সময় তিনি আবেগঘন কণ্ঠে দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই ক্লাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এবং দর্শকেরা আমার জীবনের অসাধারণ অভিজ্ঞতা। অনেক ধন্যবাদ সবাইকে। আমি এ দেশের সেরা কিছু খেলোয়াড়ের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পেরে নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করছি। তারা এই প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাটা জিতেছে খুবই চমত্কারভাবে। আমি তাদের অভিনন্দন জানাই।’ ক্লাবের নতুন কোচ ডেভিড ময়েজের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্যও সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফার্গুসন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যখন খারাপ সময় কাটিয়েছি, তখন সবাই আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এখন একইভাবে নতুন কোচের পাশে দাঁড়ানোটাও আপনাদের দায়িত্ব।’
গতকাল সোয়ানসে সিটির বিপক্ষে প্রথমার্ধের ৩৯ মিনিটে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে এগিয়ে দিয়েছিলেন জাভিয়ের হার্নান্দেজ। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯ মিনিটে খেলায় সমতা ফেরান সোয়ানসের স্ট্রাইকার মিচু। এরপর ম্যাচের প্রায় শেষ পর্যন্ত খেলায় ছিল এই ১-১ ব্যবধানের সমতা। ৮৭ মিনিটে ফার্গুসনকে জয়সূচক গোলটি উপহার দেন রিও ফার্ডিনান্দ। ওল্ড ট্রাফোর্ডে বিদায়ী ম্যাচে এই জয়টা ফার্গুসনের প্রাপ্য ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ম্যানইউয়ের এই ডিফেন্ডার। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘পুরো ক্যারিয়ারে ফার্গুসন যা কিছু অর্জন করেছেন, সেটা বিস্ময়কর। ঘরের মাঠে নিজের শেষ ম্যাচটিতে এই জয়টা তাঁর প্রাপ্যই ছিল।’
গত ২৬ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে অ্যালেক্স ফার্গুসন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-সমর্থকদের মনে কীভাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন, তা বোঝা যায় তাঁর উদ্দেশে লিখে আনা একটা ব্যানার দেখে। সেখানে লেখা ছিল, ‘স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন, যিনি অসম্ভব স্বপ্নকে সম্ভব করেছেন’। রয়টার্স