প্রস্তুতি ম্যাচে পাওয়া পিঠের চোট ইয়াসির আলীকে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে ফেলেছিল আগেই। তবে আশা করা হয়েছিল, টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে পাওয়া যাবে তাঁকে। সেই আশা পূরণ হচ্ছে না। চোটের যে অবস্থা, তাতে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই আর খেলা হচ্ছে না ইয়াসিরের। যে কারণে তাঁকে সেন্ট লুসিয়া থেকে দেশে ফেরত আসতে হচ্ছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন গত ১০ জুন পিঠে চোট পেয়েছিলেন ইয়াসির। এরপর এমআরআইয়ে তাঁর মেরুদণ্ডে সমস্যা ধরা পড়ে। তখন বিসিবি থেকে জানানো হয়েছিল, ইয়াসিরের সেরে উঠতে দু-তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। আগামী ২ জুলাই শুরু হতে যাওয়া সীমিত ওভারের সিরিজে তাঁকে পাওয়ার আশা করা হয়েছিল সে কারণেই। আজ বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এখন মনে হচ্ছে, এই ব্যাটসম্যানের ফেরা বিলম্বিত হবে।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম ইয়াসিরের চোট নিয়ে বলেছেন, ‘যেমন ধারণা করা হয়েছিল, পিঠের চোট থেকে ইয়াসিরের সেরে ওঠা সেভাবে হচ্ছে না। সে এখনো পুনর্বাসনই শুরু করতে পারেনি। দুই সপ্তাহ পরও যেহেতু তার শারীরিক পরিশ্রমে মানা আছে, আমরা বলতে পারি, তার চোটের সময় দীর্ঘায়িত হবে। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে সে থাকবে না।’
ইয়াসির নিজেকে দুর্ভাগা মনে করতেই পারেন। হজ করবেন বলে মুশফিকুর রহিম ছুটি নেওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তাঁর খেলাটা নিশ্চিতই ছিল। এখন টেস্ট সিরিজ তো গেলই, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজই শেষ হয়ে গেল তাঁর।
এরই মধ্যে ইয়াসিরের বদলি হিসেবে বাংলাদেশের টেস্ট দলে নেওয়া হয়েছে এনামুল হককে। সেন্ট লুসিয়ায় ২৪ জুন শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর খেলাটাও একরকম নিশ্চিত। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন এনামুল। ঘটনাচক্রে সেই টেস্টও ছিল সেন্ট লুসিয়ায়।