বিরাট কোহলিকে টপকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি চার মারার রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং। আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে রেকর্ড গড়লেন ডানহাতি এ ওপেনার।
স্টার্লিং এ ম্যাচ শুরু করেছিলেন ২৮৪টি চার নিয়ে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোহলির চারের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২৮৫টি। আগে ব্যাটিং করা আয়ারল্যান্ড ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পরপর দুই বলে মারা দুই চারে কোহলিকে ছাড়িয়ে যান স্টার্লিং। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৪০ রানের ইনিংসে মোট ৪টি চার মারেন স্টার্লিং, তবে ছয় মারেননি একটিও।
পল স্টার্লিংয়ের রেকর্ড গড়ার দিনে অবশ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে আয়ারল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডের ১৩৪ রান স্বাগতিকেরা পেরিয়ে গেছে ২৩ বল হাতে রেখেই। ওপেনার মুহাম্মদ ওয়াসিম করেছেন ৬২ বলে অপরাজিত ১০৭ রান। ইনিংসে ৪টি ছক্কার সঙ্গে ওয়াসিম মেরেছেন ১৪টি চার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে ওয়াসিমের চেয়ে বেশি চার আছে আর তিনজনের—অ্যারন ফিঞ্চ (১৬), বাবর আজম (১৫) ও নেদারল্যান্ডসের ম্যাক্স ও’ডাউড (১৫)।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে স্টার্লিং ও কোহলি ছাড়া ২০০-এর ওপর চার মেরেছেন আর ৮ জন ব্যাটসম্যান—মার্টিন গাপটিল, রোহিত শর্মা, অ্যারন ফিঞ্চ, মোহাম্মদ হাফিজ, বাবর আজম, তিলকরত্নে দিলশান, মোহাম্মদ শাহজাদ ও ডেভিড ওয়ার্নার। বাংলাদেশের হয়ে এ সংস্করণে সবচেয়ে বেশি চারের রেকর্ড সাকিব আল হাসানের। অবশ্য দুইয়ে থাকা তামিম ইকবালের চারের সংখ্যাও কাছাকাছি। সাকিব মেরেছেন ১৮৩টি চার, তামিমের চার ১৮০টি। ১০০-এর ওপর চার আছে মাহমুদউল্লাহ (১৩৮), মুশফিকুর রহিম (১১১) ও সৌম্য সরকারের (১০৯)।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি চার মারার রেকর্ডে স্টার্লিং অবশ্য বেশ পিছিয়ে। ৭৫৬টি চার মেরে আছেন ১৫ নম্বরে। সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ১০৫টি চার ক্রিস গেইলের। দুইয়ে থাকা শিখর ধাওয়ানের চার ৯৮৫টি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ছয়ের রেকর্ড মার্টিন গাপটিলের। এখন পর্যন্ত ১৪৭টি ছয় মেরেছেন কিউই ওপেনার। ১০০-এর ওপর ছয় আছে আরও ছয়জনের—রোহিত শর্মা, ক্রিস গেইল, এউইন মরগান, অ্যারন ফিঞ্চ, কলিন মানরো ও এভিন লুইস। এ সংস্করণে স্টার্লিংয়ের ছয় ৮৭টি।
বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫৪টি ছয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি ছয়ের রেকর্ড অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর। দুইয়ে থাকা তামিম ইকবাল মেরেছেন ৪৪টি ছয়, ৪৩টি ছয় নিয়ে এ তালিকায় তিন নম্বরে সৌম্য সরকার।