নিজেদেরই দায়িত্ব নিতে বলছেন সাকিব
নিজেদেরই দায়িত্ব নিতে বলছেন সাকিব

ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে সাকিব

কেউ মুখে তুলে খাইয়ে দিয়ে যাবে না

ডারবান, পোর্ট এলিজাবেথ, মিরপুর, অ্যান্টিগা—এ বছর বাংলাদেশ টেস্ট দলের ব্যাটিং ধসের তালিকাটা দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। চোখের পলকে বালির ঘরের মতো মিলিয়ে যাওয়া যেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অর্ডারের নিয়মিত চিত্র এখন।

অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামেও সেটিরই মঞ্চায়ন হলো। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দল অলআউট ১০৩ রানে। সাকিব আল হাসানের ৫১ রানের ইনিংসটি বাদ দিলে সে সংখ্যাটা দুই অংকও ছাড়াতো না।

দিনের খেলা শেষে অধিনায়ক সাকিবের কাছের স্বাভাবিকভাবেই বার বার ব্যাটিং অর্ডারের হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। সাকিবেরও সরল স্বীকারোক্তি, ‘কোনো ভাবে ব্যাখ্যা করার কোনো সুযোগই দেখি না। আমার কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই। আমি জানি না অন্য কারো কাছে আছে কি না।’

টিম ম্যানেজমেন্টের প্রসঙ্গ টেনে সাকিব যোগ করেন, ‘সাধারণত যেটা হয় যে, এ ক্ষেত্রে কোচ-অধিনায়কের কাজটা সহজ। ধরুন, কেউ পারফর্ম করল না, তাঁকে বাদ দিয়ে দেই। সবচেয়ে সহজ কাজ কোচ, অধিনায়ক ও নির্বাচকদের।, “তুমি পারফর্ম করছ না, বাদ দিয়ে দিলাম”।’

তবে ব্যাটিং-ব্যর্থতা প্রসঙ্গে ‘আসল’ কথাটা সাকিব বলেছেন সবার শেষে। এমন ব্যাটিং ব্যর্থতার দায়টা ব্যাটসম্যানদেরই নিতে বলেছেন বাংলাদেশের নতুন টেস্ট অধিনায়ক, ‘এখানে আসলে ব্যাটসম্যানদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের কাজটা তাদেরই করতে হবে। কেউ এসে তাদের মুখে তুলে খাইয়ে দিয়ে যাবে না। ব্যর্থ হয়েছে, আশা করি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা এমনভাবে ঘুরে দাঁড়াবে যেন আমরা এই ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। সেই চ্যালেঞ্জটা থাকবে।’

এ তো গেল দিন শেষে সাকিবের কথা। তবে অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম সকালে টসের সময় উইকেট দেখে সাবেক উইন্ডিজ ক্রিকেটার ড্যারেন গঙ্গাকে সাকিব বলছিলেন দলের ব্যাটিং ভাবনার কথা, ‘উইকেট দেখে মনে হচ্ছে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। শুরুর দিকে ব্যাটিংটা একটু কঠিন হতে পারে। কিন্তু ওই কঠিন সময়টা পার করতে ইনিংসের বাকি সময়টা ভালো করতে পারব।’

সাকিবের কথাটি অবশ্য নতুন কিছু নয়, টেস্ট ক্রিকেটের পুরোনো ও সহজ সূত্রই। তবে বাংলাদেশ ধরতে পারেনি সেটি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অবশ্য সেই সূত্র মেনেই দিনশেষে সফল। ওভার প্রতি দুইয়ের নিচে রান নিলেও দিন শেষে স্বাগতিকরা উইকেট হারিয়েছে মাত্র দুটি। ৯৫ রান করে বাংলাদেশ দলের স্কোর থেকে ৮ রান দূরে আছে তারা।