গত ১৪ মে জাতীয় মহিলা দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বলেছিলেন, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতে চান। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার রানী হামিদের সেই স্বপ্ন কি পূরণ হবে? প্রায় দেড় মাস গড়িয়ে গেলেও ফেডারেশন থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফেডারেশনের এই ধীরগতিটা রানী হামিদও ভালোই জানেন, ‘ওরা মনে হয় আম-কাঁঠাল খাওয়ায় ব্যস্ত আছে।’ফেডারেশনের ওপর তাই ভরসা করে বসে থাকছেন না জাতীয় মহিলা দাবায় ১৮ বারের চ্যাম্পিয়ন। গিনেস রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেই আবেদন করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন, ‘ফেডারেশন যদি একান্তই আমাকে সহযোগিতা না করে, তাহলে আমি নিজেই গিনেস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করব। প্রথম দিকে তো ফেডারেশন বলেছিল ওরাই উদ্যোগ নেবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছু করেনি। আবার পরিষ্কার করে আমাকেও কিছু বলছে না।’রানীর সাহায্যে আসতে পারেন জোবেরা রহমান লিনু। ১৬ বার জাতীয় মহিলা টেবিল টেনিস একক শিরোপা জিতে ২০০৩ সালে গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছেন তিনি। লিনু জানালেন, ‘গিনেস বুকে নাম লেখাতে কোনো টাকা-পয়সা লাগবে না। শুধু ফেডারেশন থেকে দিতে হবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের সার্টিফিকেট ও রেকর্ডগুলো। সঙ্গে এর প্রত্যক্ষদর্শী তিনজনের সার্টিফিকেট লাগবে। আমিও এভাবেই আবেদন করেছিলাম।’ লিনু তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, গিনেস বুকে নাম লেখাতে টাকা-পয়সা লাগে না। কিন্তু ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস হোসাইনের দাবি, লাগে: ‘এটা দুইভাবে করা যায়। দ্রুত সার্টিফিকেট চাইলে টাকা-পয়সা লাগে। কিন্তু আমরা সেভাবে করব না। অন্যভাবে ব্যাপারটি প্রক্রিয়াধীন। এ ব্যাপারে ফেডারেশন থেকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতাই করা হবে।’