দ্বিতীয় সেশনে উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশ
দ্বিতীয় সেশনে উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশ

সেন্ট লুসিয়া টেস্ট

উইকেটশূন্য সেশনে মায়ার্স-ব্ল্যাকউডে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

৭১তম ওভারে বোলিং করছিলেন সাকিব আল হাসান। বলটা করলেন, তবে হাত থেকে ফসকে গেল সেটি। পিচে দুইবার বাউন্স করল, ফলে হলো নো-বল। সেন্ট লুসিয়া টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনটাও বাংলাদেশের হাত থেকে ফসকেই গেছে। প্রথম সেশনে ৪ উইকেট নিলেও এবার সাকিবদের থাকতে হয়েছে উইকেটশূন্যই।

৪ উইকেটে ১৩৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লিড এনে দিয়েছে কাইল মায়ার্স ও সহ-অধিনায়ক জার্মেইন ব্ল্যাকউডের অবিচ্ছিন্ন ১১৬ রানের জুটি। মায়ার্স চা-বিরতিতে গেছেন ৬০ রানে অপরাজিত থেকে, ব্ল্যাকউডের রান ৪০। এ সেশনে ৩০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে আরও ১১১ রান যোগ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, রান উঠেছে ওভারপ্রতি ৩.৭০ করে। প্রথম ইনিংসে এখন ১৪ রানে এগিয়ে স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয় নতুন বল পেতে এখনো অপেক্ষা করতে হবে ৮ ওভার।

প্রথম সেশনে উইকেট বোলারদের সহায়তা করেছিল ভালোভাবেই, তবে এবার অপেক্ষাকৃত পুরোনো বলে সেভাবে সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশিরা। এক পর্যায়ে শর্ট বলের দিকে ভালোভাবেই ঝুঁকেছিলেন ইবাদত-খালেদরা, তাতে ব্যাটসম্যানদের একটু অস্বস্তি হলেও ঠিক পরাস্ত হননি তাঁরা। শরীফুল ইসলামের বল খুঁজে পেয়েছিল কাইল মায়ার্সের ব্যাটের কানা, তবে সেটি গেছে প্রথম ও দ্বিতীয় স্লিপের মধ্যে থাকা বড় গ্যাপের মধ্য দিয়ে। পরে ইবাদতের বলে টপ-এজড হয়েছিলেন ব্ল্যাকউড, তবে সেটির নাগাল পাননি উইকেটকিপার নুরুল হাসান।

মধ্যাহ্নবিরতির পর প্রথম ২ ওভারে ২ রান এলেও মূলত এরপর থেকেই চড়াও হতে থাকেন মায়ার্স ও ব্ল্যাকউড, বাউন্ডারি আসতে থাকে প্রায় নিয়মিত বিরতিতেই। ৫০তম ওভারে মিরাজকে ম্যাচের প্রথম ছয়টি মারেন মায়ার্স, বোলারের মাথার ওপর দিয়ে।

সেন্ট লুসিয়া টেস্টে পিছিয়ে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

শুরুতে বাতাস কাজে লাগিয়ে বল ড্রিফট করাচ্ছিলেন মিরাজ, তবে নিজের লাইনে ঠিক ধারাবাহিক থাকতে পারেননি। তাঁর লেগ সাইড লাইনের বলে সুইপ করে চার মেরেছেন ব্ল্যাকউড, পরপর দুই ওভারে দুইটি। মিরাজকে মারা পরের চারটি দিয়ে মায়ার্সের সঙ্গে তাঁর জুটিতে আসে ৫০ রান।

এক প্রান্তে মিরাজ টানা বোলিং করে গেলেও সাকিব নিজে আসেননি। টানা ১২ ওভার করানোর পর অবশেষে মিরাজের জায়গায় আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ইনিংসের ৫৬তম ওভারে। তবে মায়ার্স-ব্ল্যাকউডকে থামাতে পারেননি। ৬০তম ওভারে ২০০ রানে পৌঁছায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ইবাদতের করা ৬৯তম ওভারটি ছিল মাইলফলকের। প্রথমে চার মেরে নিজের অর্ধশতকে পৌঁছান মায়ার্স, ১৫ ইনিংস পর পঞ্চাশের দেখা পেলেন এ বাঁহাতি। মায়ার্সের ফিফটির পরের বলে ব্ল্যাকউডের সঙ্গে তাঁর জুটি ছুঁয়ে ফেলে শত রান। ওই ওভারের শেষ বলে আরেকটি চার মারেন মায়ার্স, ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে লিডে যায় তাতেই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

২য় দিন, চা-বিরতি

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৬৪.২ ওভারে ২৩৪ (তামিম ৪৬, নাজমুল ২৬, এনামুল ২৩, লিটন ৫৩, ইবাদত ২১, শরীফুল ২৬, খালেদ ১; জোসেফ ৩/৫০, সিলস ৩/৫৩, ফিলিপ ২/৩০, মেয়ার্স ২/৩৫)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ৭২ ওভারে ২৪৮/৪ (ব্রাফেট ৫১, ক্যাম্পবেল ৪৫, মায়ার্স ৬০*, ব্ল্যাকউড ৪০*; খালেদ ২/৫১, মিরাজ ১/৫৫, শরীফুল ১/৪৯)