বারুদের গন্ধ পেতে শুরু করেছে ইংল্যান্ড। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার তৃপ্তি যেমন আছে, তেমনি আছে প্রতিনিয়ত এক নম্বরের যথার্থতা প্রমাণ করার দায়ও। ফ্লাওয়ার-স্ট্রাউস ইতিমধ্যেই শীর্ষস্থান ধরে রাখার প্রত্যয় জানিয়েছেন। আর ইংলিশদের প্রথম চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন অ্যালান ডোনাল্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন বোলিং কোচের আশা, ইংল্যান্ডকে সরিয়ে শীর্ষে উঠবে তাঁর দল।আগামী বছরই ইংল্যান্ড সফরে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ‘শ্বেতবজ্র’খ্যাত সাবেক ফাস্ট বোলার তাকিয়ে আছেন ওই সফরের দিকেই, ‘ইংল্যান্ডের মাটিতে আমাদের সিরিজটা হবে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব সময়ই ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তুলনা করে আমরা নিজেদের মান যাচাই করি। ইংল্যান্ড শীর্ষে ওঠায় আগামী বছরের সিরিজটা আরও বেশি গুরুত্ব পাবে। সিরিজটা হবে জমজমাট, কারণ কোনো দলই বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে চাইবে না। দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের অনেক কিছুই প্রমাণ করার থাকবে, ইংল্যান্ডের মাটিতে আমাদের রেকর্ড আবার দারুণ।’২০০৮ সালে ইংল্যান্ডে সর্বশেষ সিরিজেই ২-১-এ জিতে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে গাণিতিক হিসাব বলছে, ইংল্যান্ডকে টপকাতে আগামী বছরের ইংল্যান্ড সফর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না দক্ষিণ আফ্রিকার। আসছে অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তাদের দুই টেস্টের সিরিজ, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে তিন টেস্টের সিরিজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দেশের মাটিতে এই ৫টি টেস্ট জিতে গেলে এমনিতেই ইংল্যান্ডকে টপকে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সে ক্ষেত্রে এক নম্বর হয়েই হয়তো ইংল্যান্ড যেতে পারবে ডোনাল্ডের দল।চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন, সাবেক শিষ্যদের প্রশংসা করতেও ভুলছেন না ডোনাল্ড। ২০০৭ সালে কিছুদিন ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ ছিলেন। শীর্ষে ওঠায় বড় কৃতিত্ব দিলেন ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণকে, ‘ওদের বোলিং দারুণ ব্যালান্সড। ব্রড-অ্যান্ডারসন-ব্রেসনান-ট্রেমলেট দলে বড় ভূমিকা রাখছে। ওদের সম্পদের গভীরতাও অনেক। স্টিভেন ফিনের মতো বোলার দলে ঢুকতে পারছে না, অনিয়নস তো টেস্ট খেলে না অনেক দিন। দ্বিতীয় সারির বোলিং আক্রমণেও যখন এত টেস্ট অভিজ্ঞতা থাকে, প্রথম সারির কেউ না থাকলেও তাঁর শূন্যতা পূরণে সমস্যা হয় না।’ ওয়েবসাইট।