জানুয়ারিতে আইসিসির মাসসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ইবাদত হোসেন
জানুয়ারিতে আইসিসির মাসসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ইবাদত হোসেন

আইসিসি মাসসেরার মনোনয়নে বাংলাদেশের ইবাদত

জানুয়ারি মাসের জন্য আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার ইবাদত হোসেন। নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজে দারুণ পারফরম্যান্সে এ মনোনয়ন পেলেন তিনি। ইবাদতের সঙ্গে ছেলেদের মাসসেরার তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান কিগান পিটারসেন ও দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অলরাউন্ডার ‘বেবি এবি’ ডেভাল্ড ব্রেভিস।

নিউজিল্যান্ড সফরে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে যেকোনো সংস্করণেই এটি প্রথম জয় ছিল বাংলাদেশের। সে টেস্টে ৪৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন ইবাদত। সিরিজে ২৯.৩৩ গড়ে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন এ ডানহাতি।

সিরিজে ২৯.৩৩ গড়ে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন ইবাদত

এর আগে বাংলাদেশ থেকে এ পুরস্কার পেয়েছেন দুজন। গত বছরের মে মাসে জিতেছিলেন মুশফিকুর রহিম, এরপর জুলাইয়ে মাসসেরা হন সাকিব আল হাসান।

জানুয়ারিতে মনোনয়নে ইবাদতের সঙ্গী ব্রেভিসের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ গেছে স্বপ্নের মতো। এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে দারুণ মিলের কারণে ‘বেবি এবি’ নাম পাওয়া অলরাউন্ডার হন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। ৮৪.৩৩ গড়ে রেকর্ড ৫০৬ রান করেন তিনি, দুটি শতকের সঙ্গে রয়েছে তিনটি অর্ধশতক, সঙ্গে ২৮.৫৭ গড়ে নিয়েছেন ৭ উইকেট।

ইবাদত ও ব্রেভিসের সঙ্গে তালিকায় থাকা পিটারসেন ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটির সিরিজে ছিলেন দারুণ। ৬১ গড়ে ২৪৪ রান করেছেন, হয়েছেন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ও। ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টসেরা হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভাল্ড ব্রেভিস

এবার মেয়েদের তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিয়ান্ড্রা ডটিন ও ইংল্যান্ড অধিনায়ক হেদার নাইট। কমনওয়েলথ গেমস বাছাইপর্বে ৫৬.২৫ গড়ে ২২১ রান করেছেন আতাপাত্তু, সঙ্গে নিয়েছেন ৪ উইকেট। বাংলাদেশকে টপকে বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে সুযোগ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।

ডটিন মনোনয়নে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে। ২ ম্যাচে ১৮৭ রান করেছেন, আছে অপরাজিত ১৫০ রানের ইনিংসও। অন্যদিকে অ্যাশেজের একমাত্র টেস্টে ক্যানবেরায় রোমাঞ্চকর ড্রয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল নাইটের। ম্যাচে মোট ২১৬ রান করেন নাইট। তাঁর প্রথম ইনিংসে ১৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি মেয়েদের টেস্টে কোনো অধিনায়কের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।