এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে ২০২০ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের জন্য এ বছর আর আইপিএল হচ্ছে না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) নিজেরা এখনো ঘোষণা দিচ্ছে না সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। সরকার ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ভিসার ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত জানালেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চলে আসবে। আর সেটা না হলেও ১৫ এপ্রিল দেশব্যাপী চলা ‘লকডাউন’ থামলেই আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে বোর্ড।
১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব বিদেশি ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এরপরও যে সীমানা খুলে দেওয়া হবে সেটি নিয়ে নিশ্চিত নন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা। বরং আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের দিকে এগোনোয় এ বছরের জন্য আইপিএল করার কোনো কারণ দেখছেন না অনেকেই। এ কারণে আগামী আইপিএলের নিয়মেও পরিবর্তন আনা হবে। ২০২১ আইপিএলে ঘটা করে নিলাম হওয়ার কথা ছিল অধিকাংশ খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিয়ে নতুন নিলামে নামতে হতো দলগুলোকে। কিন্তু এবারের আইপিএল না হলে আগামীবার এবারের দল নিয়েই খেলা যাবে।
আইপিএল আয়োজনের সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ‘আইপিএল এ বছর হচ্ছে না। আগামী বছর হবে। আমরা জানি দেশের এখন কী পরিস্থিতি এবং এখন কেউ ঝুঁকি নেবে না, স্টেডিয়ামে আপনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন না। এর চেয়ে ভালো আগামী বছর আইপিএল হোক। কোনো বড় নিলামও হবে না। সরকারের কাছ থেকে নির্দেশনা পেলেই আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়ে দেব, এ মৌসুমটা আগামী মৌসুমেই হবে।’
গত ১৪ মার্চ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বোর্ড এক আলোচনায় বসেছিল। তখন ছোট করে হলেও আইপিএল আয়োজনের আশা করেছিলেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী। ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাতে মাত্র ৩৭ দিনে যেমন আইপিএল করা হয়েছিল, তেমন ক্ষুদ্র পরিসরের আইপিএলের আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের হার শুধু বাড়ছেই ভারতে। এ অবস্থায় তাই আইপিএল বাতিলের সিদ্ধান্তই নেওয়া হচ্ছে। বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক জয় শাহ এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি ও বোর্ড সব ভক্ত-সমর্থক, খেলোয়াড় ও কর্মীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বোর্ড বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে এবং মানুষের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে এ ব্যাপারে সরকারকে সহযোগিতা করবে।’
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মালিক নেস ওয়াদিয়াও বলেছেন, ‘আগে মানুষ পরে অন্য কিছু। অবস্থার এখনো কোনো উন্নতি হয়নি তাই আইপিএল নিয়ে কথা বলার কোনো মানে হয় না। আইপিএল না হলে, না হোক।’