ক্ষণিকের জন্য মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন। টিভি রিপ্লেতে বারবার তাঁর অহেতুক শট খেলে আউট হওয়া দেখাচ্ছিল বলেই হয়তো ড্রেসিংরুমে বসে থাকা সাকিব আল হাসান মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি। কিন্তু তাই বলে প্রতিক্রিয়ায় যেভাবে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ইঙ্গিত করলেন, সেটিও শোভন নয়। দেশের সেরা ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানকে তাই শাস্তি পেতে হলো। তাঁকে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে তিন লাখ টাকা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচের পাশাপাশি এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচেও তাই খেলা হচ্ছে না তাঁর।
গতকালের ম্যাচের এই ঘটনার পর আজ সন্ধ্যায় বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটির শুনানিতে ডাকা হয় সাকিবকে। সেখানে সাকিব আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো চেষ্টা না করে সরাসরি দোষ স্বীকার করেন। পরে বিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় শাস্তির কথা।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে আজ সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে বেশ বিতর্ক হয়েছে। কেউ কেউ সাকিবের পক্ষে থাকলেও বেশির ভাগই বলেছেন, তাঁর মতো ক্রিকেটারের নামের পাশে এমন অশোভন আচরণ মানায় না। তা ছাড়া সাকিব যে এ দেশের লাখো লাখো উঠতি কিশোর ক্রিকেটারের আদর্শ, তাঁকে যে এই কিশোরেরা অন্ধের মতো অনুসরণ করে, সেটিও তাঁর মাথায় রাখা উচিত ছিল।
বিসিবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এই ঘটনার জন্য সাকিব ভীষণ অনুতপ্ত। তার মতো অভিজ্ঞ ও তার মাপের একজন খেলোয়াড়ের এমন আচরণ মানায় না বলেও সে বুঝতে পেরেছে। এমন আচরণ যে অগ্রহণযোগ্য, সেটিও সে বুঝতে পেরেছে।’