১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যে ধরনের প্রতিবাদ এবং ঘাতকদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা ছিল, তা হয়নি। কয়েক দিন আগেও বাকশালে যোগ দেওয়ার জন্য গণভবনের সামনে যাঁদের বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল, তাঁদের একাংশ রাতারাতি ভোল পাল্টে জবরদখলকারী শাসকদের সঙ্গে হাত মেলান। অনেকে ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। তাঁদের বিভ্রান্তি ও হতাশা বেড়ে যায়, যখন দেখলেন কয়েকজন বাদে বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিসভার সদস্যরাই নতুন সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
এই বিমূঢ় অবস্থা কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ সংগঠিত করতে কিছুটা সময় লেগে যায়; যদিও কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে তাৎক্ষণিক মিছিল, প্রতিবাদ হয়েছে। প্রশাসনের মধ্যে বরগুনা মহকুমা প্রশাসক সিরাজউদ্দীন আহমদ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, যার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র তিন দিন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিভিন্ন পর্যায়ে প্রথম যে প্রতিবাদ হয়েছে, তার বিবরণ তুলে ধরা হলো এ লেখায়।
বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ওই দিন সকালেই কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের (বাকশাল হওয়ার পর দুই সংগঠন একীভূত করে গঠন করা হয়েছিল জাতীয় ছাত্রলীগ) নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। এর আগে তাঁরা স্টেশন রোডের রঙমহল সিনেমা হলসংলগ্ন ছাত্র ইউনিয়নের অফিসের সামনে সমবেত হন। সকাল নয়টার দিকে সমাবেশ থেকে স্লোগান তোলেন, ‘ডালিমের ঘোষণা মানি না, মানব না’; ‘মুজিব হত্যার পরিণাম, বাংলা হবে ভিয়েতনাম’; ‘মুজিব হত্যার বদলা নেব বাংলার মাটিতে ।’
এরপর তাঁরা পুরোনো থানা, একরামপুর, বড় বাজার, ঈসা খাঁ রোড, আখড়াবাজার ও কালীবাড়ি মোড় হয়ে মিছিলটি রঙমহল সিনেমা হলের সামনে এসে শেষ হয়। ছাত্র তরুণদের এই মিছিলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, কমিউনিস্ট ও ন্যাপের কর্মীরাও যোগ দেন।
তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে প্রথম পরিকল্পিত মিছিল ও সমাবেশ হয় ২০ অক্টোবর ফাঁকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে মিলিত হন ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এঁদের মধ্যে ছিলেন মাহবুব জামান, কাজী আকরম হোসেন, ম খালেদ খুররম, অজয় দাশগুপ্ত, শহীদুল আলম বাদল, মৃণাল সরকার, কামরুল আহসান খান, খ ম জাহাঙ্গীর, বাহালুল মজনুন চুন্নু, মুকুল বোস প্রমুখ। বিভিন্ন হল থেকে ছাত্ররা এলে সমাবেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব জামান। এরপর তাঁরা মধুর ক্যানটিন থেকে মিছিল নিয়ে কলাভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা প্রদক্ষিণ করেন। ওই দিনই ২৬ অক্টোবর বড়সড় মিছিল করে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে প্রস্তুতির জন্য সে কর্মসূচি ৪ নভেম্বর পিছিয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ৩ নভেম্বর খুনি চক্রকে সরিয়ে খালেদ মোশাররফ ক্ষমতায় আসেন। ৪ নভেম্বর ছাত্ররা বটতলায় সমাবেশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যান; এই মিছিলে খালেদ মোশাররফের মা ও ভাই রাশেদ মোশাররফ যোগ দিলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নানা অপপ্রচার চালায়; সেনাবাহিনীর ভেতরে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ ১৬ অক্টোবর জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন বঙ্গভবনে। তিনি খুনিদের প্রহরায় বঙ্গভবনেই থাকতেন। ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা চাইছিলেন, অধিবেশনটি যাতে না হয়। তাঁরা সাংসদদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কয়েকজন সাংসদ যুক্তি দেখান, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতেই তাঁরা অধিবেশনে যাবেন। সাজেদা চৌধুরী, ডা. এস এ মালেক, শামসুদ্দীন মোল্লাসহ জনা দশেক সাংসদ আগেই জানিয়ে দেন, তাঁরা যাবেন না। অধিবেশনে ২৭০ জন সাংসদ অংশ নেন। বৈঠক চলে সাত ঘণ্টা। দুপুরে ভোজেরও আয়োজন ছিল। (সংবাদ ১৭ অক্টোবর, ১৯৭৫)
বৈঠকে কুমিল্লার সাংসদ সিরাজুল হক মোশতাককে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘আপনি বৈধ রাষ্ট্রপতি নন। আপনাকে আমি মানি না।’ আরও দু–একজন সাংসদ মৃদু আপত্তি করেন। সিদ্ধান্ত ছাড়াই অধিবেশন শেষ হয়।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। ৪ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সভায় শোক প্রস্তাব পেশ করেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব জামান। প্রস্তাবে বলা হয়, জাতির পিতা ও ভূতপূর্ব চ্যান্সেলরকে হত্যা করা হয়েছে। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের জন্য এক বিরাট মিছিল বের হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হোক। অধ্যাপক ম আখতারুজ্জামান প্রস্তাবটি সমর্থন করেন। এরপর সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। উল্লেখ্য, সিনেটে সেদিন সভাপতিত্ব করছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শামস উল হক। এর আগে মতিন চৌধুরীকে উপাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। (বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, প্রতিরোধের প্রথম বছর, নূহউল আলম লেনিন ও অজয় দাশগুপ্ত)
৪ নভেম্বরের কর্মসূচিতে ছাত্ররা উজ্জীবিত হয়ে ৫ নভেম্বর হরতাল আহ্বান করেন। অথচ তখন সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ছিল। বেতার ও টেলিভিশন থেকে বারবার সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, দেশে সামরিক শাসন বলবৎ আছে। কোনো রকম সভা–সমাবেশ ধর্মঘট ও হরতাল করা যাবে না। নতুন সেনাবাহিনী প্রধান খালেদ মোশাররফ ৪ নভেম্বর মধ্যরাতে হরতাল প্রত্যাহার করার জন্য ছাত্রনেতাদের কাছে বার্তা পাঠান। তিনি বলেন, ‘টেল সেলিম, আই এম ইন ট্রাবল; হরতাল প্রত্যাহার করুন।’ কিন্তু ছাত্রনেতারা ছিলেন অনড়। পরদিন হরতালে বিক্ষিপ্ত কিছু পিকেটিং হলেও ঢাকার জনজীবন মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল। হরতাল শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে জাতীয় ছাত্রলীগ আহূত সমাবেশ শেষে জাতীয় চার নেতার স্মরণে গায়েবানা জানাজা পড়া হয়। এতে বেশ লোকসমাগম হয়।
৪ নভেম্বরের মিছিল সামনে রেখে প্রতিবাদী ছাত্ররা ‘কাঁদো বাঙালি কাঁদো’ শিরোনামে একটি ছোট্ট লিফলেট প্রকাশ করেন। এই লিফলেট প্রচার করতে গিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী খোন্দকার শওকত হোসেন ও কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হন। ১৯৭৬ সালের ১৫ মে কমিউনিস্ট পার্টির উদ্যোগে ‘চক্রান্ত রুখে দাঁড়াও, খুনিদের শাস্তি দাও’ নামে একটি লিফলেট প্রকাশ ও প্রচার করা হয়। ‘ওদের ক্ষমা নেই’ নামে পার্টি আরও একটি লিফলেট প্রকাশ করে। সে সময় মূলধারার পত্রপত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে কোনো খবর ছাপা হতো না। এই প্রেক্ষাপটে কমিউনিস্ট পার্টি ‘ইস্পাত’ নামে একটি অনিয়মিত বুলেটিন প্রকাশ করে। বুলেটিনের তৃতীয় সংখ্যায় বিমানবাহিনীর প্রধান তাওয়াবের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। (সূত্র: প্রতিবাদ প্রতিরোধের প্রথম বছর, আব্দুল কাইয়ুম)
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর জানাজা পড়েছেন যে ইমাম, তিনিই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম কবিতা লিখেন। কবিতাটি ছিল উর্দুতে লেখা। কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখলেন বিখ্যাত কবিতা ‘আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি’। ১৯৭৭ সালে বাংলা একাডেমিতে একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে কবিতাটি পাঠ করলে ক্ষমতাসীন মহলে চাঞ্চল্য পড়ে যায়। এরপর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অজস্র কবিতা লিখেন নবীন ও প্রবীণ কবিরা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম প্রকাশিত কবিতা সংকলন এ লাশ আমরা রাখব কোথায়?–এর উদ্যোক্তা ছিলেন খেলাঘরের কয়েকজন উদ্যমী কর্মী। যদিও সম্পাদক হিসেবে কারও নাম ছাপা হয়নি। চট্টগ্রাম থেকে প্রথম প্রকাশিত সংকলনের নাম শেখ মুজিব একটি লাল গোলাপ। সম্পাদক ছিলেন মিনার মনসুর ও দিলওয়ার চৌধুরী। আর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রথম গল্প লিখেছিলেন আবুল ফজল, তিনি যখন সায়েম-জিয়া সরকারের উপদেষ্টা। মৃতের আত্মহত্যা নামের এই গল্পের পটভূমি হলো, খুনির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মানসিক পীড়নের একপর্যায়ে আত্মহত্যা করেন।
১৫ আগস্ট দক্ষিণাঞ্চলীয় মহকুমার বরগুনার চিত্র ভিন্ন ছিল দেশের অন্যান্য স্থান থেকে। মহকুমা প্রশাসক সিরাজউদ্দীন আহমদ বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর শুনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসডিপিসহ অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে তিনি ঠিক করেন, জবরদখলকারী সরকারের কোনো নির্দেশ মানবেন না। এখানে আক্রমণ হলে তাঁরাও পাল্টা আক্রমণ করবেন।
মহকুমার তিন সাংসদও এই বিদ্রোহের সঙ্গে একাত্ম ঘোষণা করেন। ফুলঝুরি ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান স্থানীয় ছাত্র ও যুবকদের নিয়ে প্রতিরোধ বাহিনী গঠন করেন। তাঁরা তিন দিন বরগুনাকে মুক্ত রাখেন। পরে মোশতাক সরকার সেখানকার কর্তৃত্ব নেয় এবং এমডিও সিরাজউদ্দীন আহমদকে বরখাস্ত করে। ছিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়।
ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দ্বারা দেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ ছিল। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যে হাউস অব কমন্সের সদস্য টমাস উইলিয়ামসের নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়, যার শিরোনাম ছিল ‘শেখ মুজিব মার্ডার ইনকোয়ারি’ বা শেখ মুজিব হত্যা তদন্ত। এই কমিশনের অপর দুই সদস্য ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আইরিশ কৌঁসুলি ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মহাসচিব জেফ্রি টমাস ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক সভাপতি ও শ্রমিকদলীয় সাংসদ সন ম্যাকব্রাইড। কমিশনের দুটি বিবেচ্য বিষয় ছিল: ১. আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে বলে জিয়া যে আশ্বাস দিয়েছিলেন, তা বাস্তবে পরিণত হয়নি কেন? ২. বাংলাদেশে প্রচলিত ফৌজদারি আইনের আওতায় হত্যাকারীদের বিচার করা যায় কি না। ১৯ সেপ্টেম্বরে কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব ও তাঁর পরিবারের সদস্য, ২/৩ নভেম্বর চার রাজনৈতিক নেতার হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার ব্যর্থতায় বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে। শেখ মুজিব ও অন্যান্য নিহত ব্যক্তির পরিবারের আবেদন এবং ব্রিটেন, ইউরোপ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে জনসমাবেশ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশের প্রত্যুত্তরে টমাস উইলিয়ামস কিউসি এমপির সভাপতিত্বে এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক সভাপতি সন ম্যাকব্রাইড, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব ও নোবেল বিজয়ী জেফ্রি টমাসের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৯৮১ সালের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে আইনজীবী অব্রে রোজ ও জেফ্রি টমাস বাংলাদেশ মিশনে ভিসার জন্য আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়। এর আগেই বাংলাদেশ সরকার টমাস উইলিয়ামসকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। বাংলাদেশে আসতে না পেরে তদন্ত কমিশন ১৯৮২ সালের ২০ মার্চ লন্ডনেই প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যাতে দায়মুক্তির বিধান তুলে নিয়ে বিচারের পথ উন্মুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত হতে বাংলাদেশকে ২১ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।
সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি