প্রথম আলোর সামাজিক কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম বড় আয়োজন কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা। ঢাকার অদূরে নন্দন পার্কে ৪ ও ৫ অক্টোবর এটি সফলভাবে শেষ হলো।
সারা দেশে মোট অনুষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৬৫টি। অনুষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল আমাদের প্রথম আলো বন্ধুসভার প্রায় তিন হাজার বন্ধু। রোদ, বৃষ্টি, কাদা, জল, কষ্ট—সবকিছুকে উপেক্ষা করে আমাদের বন্ধুরা এই অনুষ্ঠানগুলো সার্থক করে তুলেছে।
রাজধানী ঢাকা ছাড়া আমাদের ৬৩টি জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি অথবা নিজস্ব প্রতিবেদক বন্ধুরা এই আয়োজনে সরাসরি যুক্ত থেকেছেন বরাবরের মতো। আমরা সবাই মিলে এই কর্মযজ্ঞকে সম্পন্ন করেছি। আসলে প্রথম আলোর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, কর্মী—সবার সহযোগিতায়ই কর্মসূচিগুলো সফল হয়।
ঢাকা মহানগরের সব কটি বন্ধুসভার সদস্যরা ঢাকার কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। শিক্ষার্থীদের নাম নিবন্ধন থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া, নিয়ে আসা পর্যন্ত সব কাজই তাঁরা করে থাকেন। চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করা যায় না, কতটা কঠিন কাজ কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁরা করে থাকেন।
আমাদের একটা বড় সৌভাগ্য যে কৃতী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের সব বন্ধুর সরাসরি একটা যোগাযোগ ঘটে। এই সময় অসংখ্যা জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী সারা দেশের বিভিন্ন বন্ধুসভার সঙ্গে যুক্ত হয়। তাদের মধ্যে বন্ধুসভা সম্পর্কে একটা ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়। সবচেয়ে বড় ও কঠিন কাজগুলো করতে হয় চট্টগ্রাম ও ঢাকা মহানগরের বন্ধুদের। তাঁদের সম্পন্ন করতে হয় তিনটি অনুষ্ঠান। কিন্তু কোনো কাজই সহজ নয়। উপজেলা পর্যায়ে যেমন, জেলা পর্যায়েও তেমন।
নন্দন পার্কে জমা কাদামাখা এক কৃতী শিক্ষার্থী ইসমত আহমেদ মন্তব্য করেন, ‘এত দিন শুধু প্রথম আলোতে বন্ধুসভা সম্পর্কে জেনেছি। আজ তাদের কাজ নিজের চোখে দেখলাম। পত্রিকায় পড়ে পড়ে যা ভেবেছিলাম, বন্ধুসভা তার চেয়েও অনেক বড়।’
ইসমতের কথা ভাবতে ভাবতে সারা দেশের সব কটি বন্ধুসভার কথা মনে পড়ে। আসলেই তাই, আমরা যা ভাবি, বন্ধুসভার বন্ধুরা তার চেয়েও বড়।
নির্বাহী সভাপতি: প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ