স্টপ টিবি পার্টনারশিপের সহযোগিতায় আইসিডিডিআরবি ও প্রথম আলোর আয়োজনে ‘যক্ষ্মা চিকিৎসায় বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা। চট্টগ্রাম, ২১ অক্টোবর ২০২৪
স্টপ টিবি পার্টনারশিপের সহযোগিতায় আইসিডিডিআরবি ও প্রথম আলোর আয়োজনে ‘যক্ষ্মা চিকিৎসায় বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা। চট্টগ্রাম, ২১ অক্টোবর ২০২৪

গোলটেবিল বৈঠক

চট্টগ্রাম ও পার্বত্য অঞ্চলে যক্ষ্মা চিকিৎসা: বেসরকারি খাতের ভূমিকা

স্টপ টিবি পার্টনারশিপের সহযোগিতায় আইসিডিডিআরবি ও প্রথম আলোর আয়োজনে ‘যক্ষ্মা চিকিৎসায় বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের একটি রেস্তরাঁয়। গত ২১ অক্টোবর ২০২৪ অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনার সারমর্ম এই ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত হলো।

অংশগ্রহণকারী

ডা. অং সুই প্রু মারমা

বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), চট্টগ্রাম বিভাগ

অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসাইন শরিফ

উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি

অধ্যাপক ডা. সুযত পাল

অধ্যক্ষ, মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ডা. সুভাষ চন্দ্র সূত্রধর

ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পিপলস হসপিটাল

ডা. এ এইচ এম ইছহাক চৌধুরী

সাবেক উপ-উপাচার্য, ইউএসটিসি

অধ্যাপক ডা. শৈবাল বড়ুয়া

বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ, আর্মি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম

ডা. বিপ্লব পালিত

যক্ষ্মাবিশেষজ্ঞ, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগ

ডা. এ টি এম রেজাউল করিম

ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পার্ক ভিউ হসপিটাল

ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ

ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ন্যাশনাল হাসপাতাল

সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন

সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত), চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন

পরিচালক, শেভরন ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি

ডা. সরোজ কান্তি চৌধুরী

সহযোগী অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ

সুশান্ত বিশ্বাস

বিভাগীয় ব্যবস্থাপক, ব্র্যাক

ডা. আদিল সিকদার

সিনিয়র রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর, আইসিডিডিআরবি

ডা. শাহরিয়ার আহমেদ

অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট, আইসিডিডিআরবি

সঞ্চালনা

বিশ্বজিৎ চৌধুরী

যুগ্ম সম্পাদক, প্রথম আলো

ডা. অং সুই প্রু মারমা

বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), চট্টগ্রাম বিভাগ

জনস্বাস্থ্য প্রশাসক হিসেবে এখানে এসে বসে শোনার পর মনে হলো, সবার বক্তব্য আমার শোনা দরকার। বিশেষজ্ঞরা অত্যন্ত গুরুত্বে সঙ্গে মতামত দিয়েছেন যেগুলো সরকারের নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখানে আমরা শুরুতে কয়েকটি কথা বলেছি, সরকারি-বেসরকারিভাবে যক্ষ্মা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে আইসিডিডিআরবিবি ও ব্র্যাক কাজ করছে।

সার্ভিস অ্যাভেইলেবিলিটি, সার্ভিস এক্সেসিবিলিটি, সার্ভিস ইউটিলাইজেশন, কাভারেজ অ্যান্ড ইফেকটিভ কাভারেজ—সার্ভিস নেই, তাহলে জনগণ কোথায় যাবে? আবার সার্ভিস আছে, কিন্তু ওখানে যাওয়ার সুযোগ নেই। সার্ভিস আছে, যাওয়ার সুযোগও আছে, কিন্তু ব্যবহার করা হয় না। তাহলে কাজ চলবে কীভাবে? কাজ করছে ঢিলেঢালাভাবে। এটি হবে না। যেকোনো কাজের একটি গাইডলাইন আছে। তা অনুসরণ করে কাজ করতে হবে। কাজটি যাতে যথাযথভাবে হয়।

জনগণকে জানাতে হবে। ফ্রি এক্স-রে থেকে পরীক্ষা–নিরীক্ষা, এমনকি যাওয়া–আসার ফি–ও আমরা বহন করছি। সেটি সবাই জানেন না। সিভিল সার্জনের মাধ্যমে তৃণমূলে এই বার্তা দেওয়ার জন্য বলা হয়। সার্ভিসের কথা বলছি আমরা, ড্রপ আউট ও মিসিংয়ের কারণে এমডিআর এসডিআর টিবি হয়। এটা যাদের হয়, তারা বোঝে। ছয় মাসের ওষুধ, কিন্তু ঠিকমতো খাচ্ছে না। সাধারণ জনগণকে সচেতন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা মূল বিষয়ে আসি, যেকোনো কাজে অনেকগুলো সমস্যা থাকে। সমস্যা কোথায়, তার জন্য বিশ্লেষণ করা দরকার। আমাদের টিবি ডিটেকশন রেট, কিউর রেট বাড়ানো যায়, তাহলে বাধাগুলো কোথায়? ঠিক কোন সমস্যার কারণে আমরা এগিয়ে যেতে পারছি না, তা যদি খুঁজে বের করা যায়, তাহলে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারলে অর্জন ভালো হবে।

সরকারি–বেসরকারি সব জায়গায় সেবা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা দেখেছি, ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত ছিল না। জনবল, জায়গা, ওষুধসহ কোনো কিছুই পর্যাপ্ত ছিল না। বেসরকারি হাসপাতালের ভূমিকা আমরা স্বীকার করি। বিশেষ করে ডেঙ্গু ও কোভিডের ক্ষেত্রে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো যুক্ত করতে হয়েছে।

ম্যালেরিয়ার কথা বলা হচ্ছে, ব্র্যাকের নেতৃত্বে ১৪টি এনজিও কনসোর্টিয়াম কাজ করে। এখন ম্যালেরিয়া রোগী খুঁজে পাওয়া যায় না। যৌথভাবে কাজ করার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। কোভিডের সময় প্রমাণ করেছি, সক্ষমতা বেড়েছে যৌথভাবে কাজ করেছি বলে। সুতরাং প্রাইভেট–পাবলিক পার্টনারশিপকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ইনভলভমেন্ট, প্রাইভেট সেক্টর, লজিস্টিক সাপোর্ট, কমিউনিটি পর্যায়ে ধর্মীয় গুরুদের যুক্ত করতে হবে। তাঁরা যখন সভা করেন, তাঁরা যখন বক্তব্য দেন। এই সামাজিক সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসাইন শরিফ

উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি

সচেতনতার বিষয়ে সবাই বলেছেন। পরামর্শ বা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে রোগীর ক্ষমতায়ন (পেশেন্ট এমপাওয়ারমেন্ট) করতে হবে। যাতে তাঁরা রোগ সম্পর্কে সচেতন হন এবং রোগের প্রতিকার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

আমাদের দেশে এখানে যথেষ্ট গাফিলতি বা ঘাটতি রয়েছে। একজন সম্মানিত বিশেষজ্ঞ বলেছেন, রোগী চিকিৎসা সম্পূর্ণ করেন না। আংশিক চিকিৎসার কথা বলেছেন। এর মূল কারণ হচ্ছে, আমরা রোগীকে ঠিকমতো কাউন্সেলিং করি না। এবং তাঁদের যথাযথ ক্ষমতায়ন করি না। আমি মনে করি, এটার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

আমাদের যে এক্সট্রা পালমোনারি টিবি বাড়ছে। সেটি কমছে না। যেমন বোন টিবি, স্পাইন টিবি জেনিক্যাল টিবি...। এসব টিবি রোগী বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের চিকিৎসকের কাছে যান। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে রোগীর চিকিৎসা করা হয়। ধরি, কোনো রোগী মেডিসিনের একটি বিভাগে গেলেন, তিনি যক্ষ্মা ছাড়া অন্য একটি সমস্যা নিয়ে গেছেন। ওখানে দুই মাস পার করে দিলেন। এতে তাঁর যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা হচ্ছে না। এ রকম যেকোনো মাল্টিডিসিপ্লিনের বিষয়ে সমন্বিতভাবে যাতে সবাই ব্যবস্থা নিতে পারি, এ জন্য গুরুত্ব বা জোর দিচ্ছি।

আরেকটি জিনিস আমাদের ডট সেন্টারে রোগী আছে, রেকর্ড করি, নোটিফিকেশন করি। কিন্তু প্রাইভেট চেম্বারে যেসব রোগী আসেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয় না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর যক্ষ্মা চিকিৎসায় যখন বেসরকারি খাতের ভূমিকা বেড়ে গেছে, তখন সম্ভবত সরকারি ভূমিকা একটু কমে গেছে। সেখানে একটু সমন্বিত জোর দিতে হবে।

অধ্যাপক ডা. সুযত পাল

অধ্যক্ষ, মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

যক্ষ্মা চিকিৎসায় বেসরকারি খাতের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। বেসরকারি খাত থেকে রোগ নিরূপণ করা হচ্ছে। ওষুধ সংবেদনশীল যক্ষ্মাসহ সব ধরনের যক্ষ্মা উপজেলা পর্যায়ে নিরূপণ করে সেখানে সরকারি-বেসরকারি দুই খাতেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। যক্ষ্মা রোগের সব চিকিৎসা সরকারের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এ জন্য যেখানেই ডটস কর্নার রয়েছে, সেখান থেকে ওষুধ দেওয়া হয়। গত বছরের যে পরিসংখ্যান, গত বছর ডায়াগনোসিস হওয়ার কথা ছিল ৩ লাখ ৭৯ হাজার। আমরা প্রায় ৭০ শতাংশের মতো ডায়াগনোসিস করতে পেরেছি। অর্থাৎ বড় একটা অংশ এখনো ডায়াগনোসিস ও রিপোর্টিংয়ের বাইরে থেকে যাচ্ছে।

রোগ নিরূপণের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হয়। যক্ষ্মা রোগের মতো এত ব্যাপকতা ও বৈচিত্র্য আর কোনো রোগে নেই। কোভিডের কথা সবাই জানতেন, আতঙ্কের কথা ছিল। ২০২০ থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের শেষ পর্যন্ত কোভিডে মানুষ মারা গেছে। এ সময় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২২ হাজারের কাছাকাছি।

যক্ষ্মা রোগে বেশি মারা যায়, যারা গরিব মানুষ। যাঁরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকেন, তাঁরা বেশি আক্রান্ত হন এবং মৃত্যুবরণ করে থাকেন। চট্টগ্রামের ১০৩টি উপজেলায় রোগ নিরূপণ সুবিধার জন্য ১২২টি জিন এক্সপার্ট রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় ৫৬টি পোর্টেবল ও ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে। পরীক্ষার ক্ষেত্রে জিন এক্সপার্টের অ্যাকিউরেসি রেট ৯৫ শতাংশ। জিন এক্সপার্টের জন্য এসি রুমসহ অন্যান্য ব্যবস্থা থাকতে হয়। চট্টগ্রামের অনেকগুলো উপজেলা পাহাড়ি অঞ্চল। এসব এলাকায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থায় জটিলতা থাকার কারণে জিন এক্সপার্টের বিকল্প ট্রুনেট নামের মেশিন দিয়ে পূরণ করা হচ্ছে।

ডা. সুভাষ চন্দ্র সূত্রধর

ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পিপলস হসপিটাল

আমার মনে হয়, আমাদের প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে। প্রতিটি কর্নারে যদি আমরা যক্ষ্মারোগের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে পারি, তাহলে আমরা বোধো হয় চিকিৎসায় অগ্রগতি লাভ করতে পারব, যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারব। আশার কথা হচ্ছে, সরকারি প্রতিষ্ঠান, আর্মি কলেজ, বড় মেডিকেল কলেজ, পিজি হসপিটাল, জেলা হাসপাতাল, উপজেলা হাসপাতালের সব কটিতে যক্ষ্মার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

আমার মনে হয়, বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, যেমন আইসিডিডিআরবি, তারা যেমন সুন্দর চিকিৎসা দিচ্ছে, জিন এক্সপার্ট সেন্টার, সেখানে আমরা নিয়মিত রোগী পাঠাই। সেখানে সুন্দরভাবে রোগ নিরূপণ হয়, চিকিৎসাও সুন্দরভাবে দেওয়া হয়। এতে রোগীর আর এমডিআর টিবি হতে পারে না।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকেও সচেতনতার ব্যাপারে যুক্ত করা যেতে পারে। মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, বৌদ্ধবিহারের ভান্তে বা ভিক্ষু, গির্জার ফাদার—তাঁদের কাছে যেতে পারি। তাঁদের কাছে লোকজন আসেন। তখন তাঁরা সবাইকে সচেতন করতে পারবেন। তৃণমূল পর্যায়ে যেতে পারি, যক্ষ্মা কীভাবে ছড়ায় ও এটি কী, এটির চিকিৎসা কী , কী কী পরীক্ষা করতে হয়—এসব বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো দরকার। তাহলে বসন্ত ও পোলিওর মতো যক্ষ্মাও নির্মূল করতে পারব।

ডা. এ এইচ এম ইছহাক চৌধুরী

সাবেক উপ-উপাচার্য, ইউএসটিসি

যক্ষ্মা অনেক পুরোনো রোগ। এটি একটি মাল্টি অর্গান ডিজিজ। কয়েকটি জায়গা ছাড়া শরীরের প্রায় সব জায়গায় এই রোগ হয়। ডায়াবেটিস একটি মাল্টি অর্গান ডিজিস, যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে অ্যাটাক করে। যক্ষ্মাও এমনি একটি ব্যাধি।

একটি জিনিসকে গুরুত্ব দিতে চাচ্ছি, নমুনা সংগ্রহে (স্যাম্পল কালেকশন) যেটি আমরা করি, এই স্যাম্পল কালেকশনে যেসব ফিজিশিয়ানরা অ্যাডভাইস করেন, তাঁদের কাছে অনুরোধ, নমুনা সংগ্রহে অনেক সতর্ক হতে হবে। যক্ষ্মা শনাক্তকরণে নমুনা সংগ্রহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে কফ সংগ্রহ করা না গেলে যক্ষ্মা ধরা না-ও পড়তে পারে। থুতুর পরিবর্তে যাতে কফ আনতে হবে। নমুনা সংগ্রহে কোনো ভুল হলে পুরো প্রক্রিয়া ভুল হয়ে যাবে। ফলে যক্ষ্মা নির্মূল কার্যক্রমে সাফল্য আসতে দেরি হবে।

অধ্যাপক ডা. শৈবাল বড়ুয়া

বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ, আর্মি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম

যক্ষ্মা চিকিৎসায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বিশ্বও অনেক এগিয়ে গেছে। ২০০০ সালের পর থেকে ৭০ মিলিয়ন যক্ষ্মারোগীর রিকভারি হয়েছে।

সচেতনতার দিক থেকে বলব, বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন। আগে ডট’স সেন্টারগুলোতে প্রতিদিন রোগীদের ওষুধ খাওয়াতে হতো। এখন মানুষ নিজে নিজে ওষুধ সেবন করেন।

এরপরও কেন যক্ষ্মা বাড়ছে? সেটির অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে এইচআইভি। এটি এড়িয়ে গেলে হবে না। গুরুত্ব ও জোর দিতে হবে। না হলে অনেক কঠিন।

২০৩৫ সালের যে লক্ষ্যমাত্রা শূন্যতে নিয়ে আসা তা পূরণ করা কঠিন হয়ে যাবে। যক্ষ্মার টিকা আছে। এরপরও শতভাগ নির্মূল করতে পারব কি না, তা নিশ্চিত নয়। তাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। যেভাবে হোক, সচেতনতা বাড়িয়ে, চিকিৎসা সেবা বাড়িয়ে, স্ক্রিনিং বাড়িয়ে এই কাজ করে যেতে হবে।

স্ক্রিনিং বা টেস্টের দিকে নজর দিতে হবে। ল্যাটেন্ট টিবি রোগীদের ফাইন্ডআউট করতে হবে। অ্যাকটিভ টিবি কমাতে পারব।

বর্তমানে যাঁরা যক্ষ্মায় মারা যাচ্ছেন, তাঁদের ১৩ শতাংশ এইচআইভি ক্যারিয়ার। এ জায়গায় মনোযোগ দিতে হবে। রোহিঙ্গা কমিউনিটিতে অনেক এইচআইভি ক্যারিয়ার আছে। তারা অজান্তে আমাদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। তারা কিন্তু হুমকি যক্ষ্মা হওয়ার জন্য।

আমাদের মধ্যে অনেকের যক্ষ্মার জীবাণু আছে, নীরবে বহন করছি। সেটি হয়তো শনাক্ত হচ্ছে না। ফলে এটি সমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

একসময় থাইল্যান্ডের অবস্থা খারাপ ছিল। তারা এখন নিয়ন্ত্রণ করেছে। তাই সচেতনতার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয়ের মাধ্যমে আমাদেরও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ জায়গায় নজর দিতে হবে।

ডা. বিপ্লব পালিত

যক্ষ্মাবিশেষজ্ঞ, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগ

যক্ষ্মা চিকিৎসায় বেসরকারি খাতের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। বেসরকারি খাত থেকে রোগ নিরূপণ করা হচ্ছে। ওষুধ সংবেদনশীল যক্ষ্মাসহ সব ধরনের যক্ষ্মা উপজেলা পর্যায়ে নিরূপণ করে সেখানে সরকারি-বেসরকারি দুই খাতেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। যক্ষ্মারোগের সব চিকিৎসা সরকারের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এ জন্য যেখানেই ডট’স কর্নার রয়েছে, সেখান থেকে ওষুধ দেওয়া হয়।

রোগ নিরূপণের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হয়। যক্ষ্মারোগের মতো এত ব্যাপকতা ও বৈচিত্র্য আর কোনো রোগে নেই। কোভিডের কথা সবাই জানতেন, আতঙ্কের কথা ছিল। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের শেষ পর্যন্ত কোভিডে ২২ হাজারের কাছাকাছি মানুষ মারা গেছেন।

যক্ষ্মারোগে বেশি মারা যান, যাঁরা গরিব মানুষ। যাঁরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকেন, তাঁরা বেশি আক্রান্ত হন এবং মৃত্যুবরণ করে থাকেন। চট্টগ্রামের ১০৩টি উপজেলায় রোগ নিরূপণ সুবিধার জন্য ১২২টি জিন এক্সপার্ট রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় ৫৬টি পোর্টেবল ও ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে। পরীক্ষার ক্ষেত্রে জিন এক্সপার্টের অ্যাকুরেসি রেট ৯৫ শতাংশ। জিন এক্সপার্টের জন্য এসি রুমসহ অন্যান্য ব্যবস্থা থাকতে হয়। চট্টগ্রামের অনেকগুলো উপজেলা পাহাড়ি অঞ্চল। এসব এলাকায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থায় জটিলতা থাকার কারণে জিন এক্সপার্টের বিকল্প ছিল ‘ট্রুনেট’ নামের মেশিন দিয়ে পূরণ করা হচ্ছে।

ডা. এ টি এম রেজাউল করিম

ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পার্ক ভিউ হসপিটাল

যক্ষ্মা চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৩ ভাগের ২ ভাগই অবদান রাখছে বেসরকারি খাত। মোটাদাগে যক্ষ্মারোগীর একটি বড় অংশ প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা নিতে আসে বেসরকারি হাসপাতালে। বেসরকারি খাত উন্নত না হলে চিকিৎসাসেবা কোনো দিনই উন্নত করতে পারব না। আমাদের দেশে যক্ষ্মা নির্মূল করতে হলে বেসরকারি খাতের দিকে গুরুত্ব দিতেই হবে। এ জন্য প্রয়োজন সমন্বিতভাবে কাজ করা।

জিন এক্সপার্ট মেশিন অনেক ব্যয়বহুল। সবার ক্ষেত্রে এর ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় না। তাই সরকার বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এই যন্ত্রের ব্যবস্থা করে দিতে পারে। ফি–ও সরকার নির্ধারণ করে দেবে। এতে রোগীরা আরও বেশি উপকৃত হবে। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমও আরও কার্যকর হবে। আমরা যদি সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাই, তাহলে যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।

ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ

ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ন্যাশনাল হাসপাতাল

আমরা কোভিড–১৯ মহামারি দেখেছি। এ সময় সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের অবদান ছিল। এটা যদি না হতো, তাহলে কোভিড মোকাবিলা কঠিন হয়ে যেত।

যক্ষ্মারোগের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে। আমরাও বিভিন্ন সরকারি যক্ষ্মা চিকিৎসাকেন্দ্রে রোগী পাঠাই। অনেক সময় রোগীরা ঠিকমতো ফলোআপে আসে না। তারা অনিয়মিত হয়ে যায়। পরে এমডিআর টিবি হয়ে যায়। তাই আমাদের মধ্যে সমন্বয় দরকার।

বেসরকারি খাতের নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ডায়াগনোসিসের তথ্য মিসিং হয়ে যায়। স্যাম্পলও মিসিং হয়। আমরা আশা করব, আপনারা বেসরকারি খাতকে যুক্ত করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন। যাতে বেসরকারি খাত আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারি যক্ষ্মা নির্মূলে।

সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন

সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত), চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতাল বহির্বিভাগ চালু করেছে। এরপরও যখন আইসিডিডিআরবি বা সরকার মনে করবে আমাদের আরও স্পেস (জায়গা) দেওয়া দরকার, মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ধরনের জায়গা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমরা চাই চট্টগ্রামবাসী যেন সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও চিকিৎসা পায়। সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা পাই। সরকার আমাদের কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে।

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে আমরা আরও বেশি কার্যক্রম বাড়াব। সে জন্য আইসিডিডিআরবির সহায়তা চাই এবং বিশেষ করে চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা চাই। নাটাব নামের একটি সংগঠন আছে, তারা যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বেসরকারিভাবে প্রচুর কাজ হচ্ছে।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন

পরিচালক, শেভরন ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতকে সম্পৃক্ত করার জন্য আইসিডিডিআরবি যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরা কীভাবে যুক্ত হতে পারি, এটার জন্য একটি পরিকল্পনা করা দরকার। এটার জন্য যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে, যেমন হসপিটাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ইত্যাদি থেকে আমরা কীভাবে সহায়তা করতে পারি, এটার যদি সমন্বিত পরিকল্পনা করা যায় তাহলে জনগণের জন্য খুব উপকার হয়।

অনেক সময় ফুসফুসবহির্ভূত যক্ষ্মারোগীদের এমআরআইসহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন হয়। হয়তো এক্স-রেতে কিছু পাওয়া গেল না। এ জন্য এমআরআই করা দরকার। একেবারে শুরুতে প্রাথমিক অবস্থায় যক্ষ্মা বোঝা না–ও যেতে পারে। অনেক রোগী আসে কোমরে ব্যথার চিকিৎসা করতে। ব্যথার ওষুধ খেয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়; কিন্তু পরে তার যক্ষ্মা শনাক্ত হয়। এ বিষয় সম্পর্কে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।

ডা. সরোজ কান্তি চৌধুরী

সহযোগী অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ

সরকার তার ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করছে। যক্ষ্মা চিকিৎসায় বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে; এটা কিন্তু ছোঁয়াচে রোগ। রোগীরা সচেতন হলে তিনি বাঁচবেন, পরিবেশ ও পরিবারকে বাঁচাবেন। আশপাশের লোকদের বাঁচাবেন। এই সচেতনতা যদি রোগীদের মধ্যে তৈরি করতে পারি তাহলে আমাদের চিকিৎসার যে ভার ও ব্যয় তা অনেক কমে আসবে। সেটি আমরা কীভাবে করতে পারি, শুধু চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিলে হবে না, জানাতে হবে রোগটি কী এবং সেটি সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে এবং রোগী যাতে পরিপূর্ণ চিকিৎসা পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

ধরুন, আমার কাছে একজন রোগী এলেন রাঙামাটির লংগদু থেকে। তিনি আজ এখানে চিকিৎসা করিয়ে চলে যাবেন। তাহলে এই রোগীকে কই পাঠাতাম? সরকারি সেবা তো তো আড়াইটার পর বন্ধ। তাই যক্ষ্মা চিকিৎসায় সরকারি–বেসরকারি খাতের সমন্বয় প্রয়োজন।

সুশান্ত বিশ্বাস

বিভাগীয় ব্যবস্থাপক, ব্র্যাক

আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন ৩০ শতাংশ মিসিং কেস আছে। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আমাদের যে মূল কাজ কমিউনিটিতে প্রচারণা প্রয়োজন। একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে কাদের যক্ষ্মা হতে পারে তার বার্তা পৌঁছাতে পারি। 

উপজেলা পর্যায়ে জিন এক্সপার্ট সাইট, মাইক্রোস্কপি সাইট, বিভাগীয় পর্যায়ে জিন এক্সপার্ট সাইট আছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করা হয় তা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে।

আমরা যদি আইসিডিডিআরবি ও ব্র্যাকসহ সবাই মিলে কাজ করলে মিসিং কেসগুলো ধরতে সুবিধা হবে। অর্থাৎ আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মিসিং কেস। বর্তমানে আমরা যে অবস্থানে আছি, এটা টেকসই করতে হবে। মিসিং কেসগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এনজিও, সরকার একত্রে কাজ করতে হবে। জনবল বাড়ানোর যেমন প্রয়োজন রয়েছে তেমনি তহবিলও দরকার।

ডা. শাহরিয়ার আহমেদ

অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট, আইসিডিডিআরবি

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঙ্গে না নিয়ে আমরা বাংলাদেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারব না। আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি। আমি ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে কাজ করছি। আমরা যখন প্রথম কাজ করা শুরু করেছি, তখন যত কেস আমরা ধারণা করতাম, তার অর্ধেকের মতো শনাক্ত করা যেত।

বিগত এক দশকে ৮০ শতাংশের বেশি রোগী শনাক্ত করতে পারছি। সর্বশেষ লক্ষ্যে যাওয়ার জন্য আপনাদের সহযোগিতা দরকার। দেশের ৭০ ভাগ রোগীকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য অসুখের মতো যক্ষ্মার চিকিৎসাসেবাও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেওয়ার পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। আপনারা আরও বলেছেন, বেসরকারি খাতে যক্ষ্মারোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার সক্ষমতা ও সুযোগের ঘাটতি আছে। চট্টগ্রামে গোলপাহাড়ে আইসিডিডিআরবির একটা সেন্টার রয়েছে। আমরা শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না।

আমরা চাই মানসম্মতভাবে যক্ষ্মারোগী শনাক্তকরণ পরীক্ষার সক্ষমতা যেন সকল বড় বড় বেসরকারি হাসপাতালে গড়ে ওঠে। সে জন্যই আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। শুধু চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের বড় বড় বিভাগে আলাপ করছি। কীভাবে আমরা বেসরকারি খাতকে কাজে লাগাব, সেই লক্ষ্যে আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করছি।

আমরা আশা করছি, আপনাদের সবার পরামর্শ ও সুপারিশ একত্র করে জাতীয় পর্যায়ে একটি কর্মশালা আয়োজন করতে চাই। কর্মশালা থেকে আমরা সমন্বিত ও কার্যকর একটি কৌশলপত্র জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করতে চাই।

সুপারিশ

  • যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের কার্যকর সমন্বয় বাড়াতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য অঞ্চলে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

  • জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় স্থানীয় এনজিও, হাসপাতাল এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করতে সেমিনার ও প্রশিক্ষণের আয়োজন।

  • সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারত্বে একটি তহবিল গড়ে তোলার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে যক্ষ্মা প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার।

  • স্থানীয়ভাবে যক্ষ্মা চিকিৎসার ওষুধ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়িয়ে চিকিৎসা ব্যয় কমানো। 

  • জিনএক্সপার্ট মেশিনের সেবা বেসরকারি খাতের মাধ্যমে উপলব্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।