বাংলাদেশ থেকে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৭৮৮ জন হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ৬৭১ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৬০টি এজেন্সির মাধ্যমে ৩১ হাজার ১১৭ হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত হজ পোর্টাল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
দেশে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে সময় পাঁচ দিন বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। এরপর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সময় আরও সাত দিন বাড়ানো হয় গতকাল। বর্ধিত সময় অনুযায়ী ৭ মার্চ পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধন চলবে।
বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক্-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক বহাল রেখে ৪৫ হাজার ৫১৪ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক্-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক বহাল রেখে ৮ লাখ ৪৬৭ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। নিবন্ধনের জন্য যাঁদের মুঠোফোনে এসএমএস গিয়েছে, তাঁরা নিবন্ধন করতে পারবেন। কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন পবিত্র হজ হতে পারে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং অবশিষ্ট ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর মধ্যে বিমানভাড়া ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, বাড়িভাড়া ২ লাখ ৫ হাজার টাকা, মিনার তাঁবু ভাড়া ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ভিসা ফি ৮ হাজার ৫১৭ টাকা, খাবার খরচ ৩৫ হাজার টাকা।