বিপদে সাহায্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি: মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা

মুসলমানদের পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি ও সাহায্যের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের শিক্ষা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। বিপদে অন্যের সাহায্য করা ও দোষত্রুটি গোপন রাখার মাধ্যমে কিয়ামতের দিনে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের কথা বলা হয়েছে।

কেউ বিপদে পড়লে তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা কর্তব্য। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মুসলমানেরা পরস্পর ভাই ভাই। কেউ কারও প্রতি জুলুম করে না এবং শত্রুর কাছে হস্তান্তর করে না। যে লোক তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করবে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট লাঘব করবে, আল্লাহ তার কিয়ামতের দিনের একটি কষ্ট লাঘব করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষত্রুটি গোপন রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষত্রুটিও গোপন রাখবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৮৯৩)

বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা অনেক সওয়াবের কাজ। ইসলাম মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার কথা বলে।

অন্য একটি হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.)–র বরাতে জানা যায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘একদিন পথে এক ব্যক্তির খুবই তৃষ্ণা পেয়েছিল। সে একটি কূপ দেখতে পেয়ে তাতে নামল এবং পানি পান করে উঠে এল। তখন দেখতে পেল, একটি কুকুর তৃষ্ণার জ্বালায় জিহ্বা বের করে হাঁপাচ্ছে এবং তৃষ্ণা মেটাতে কাদামাটি খাচ্ছে। তখন লোকটি মনে মনে বলল, আমার যেমন ভীষণ তৃষ্ণা পেয়েছিল, এ কুকুরেরও ঠিক তেমনি তৃষ্ণা পেয়েছে। সে কূপে নেমে চামড়ার মোজা ভরে পানি নিয়ে এল এবং কুকুরকে পান করাল। ফলে আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হলেন এবং তাকে মাফ করে দিলেন।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, পশুর ক্ষেত্রেও কি আমাদের জন্য প্রতিদান রয়েছে?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘প্রতিটি প্রাণীতেই সওয়াব রয়েছে।’ (বুখারি, হাদিস: ২৪৬৬)