সুরা ইখলাস পাঠে সওয়াব বেশি

একবার রাসুল (সা.)–কে এমন এক লোক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যিনি প্রতি নামাজে সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করতেন। তখন রাসুল (সা.) সাহাবিদের বললেন, লোকটিকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে কেন তিনি এত ঘন ঘন তিলাওয়াত করেন? লোকটি উত্তরে বলেছিল, ‘কারণ, এটি সিরাতুর রহমান। এতে পরম করুণাময়ের বর্ণনা আছে এবং আমি পরম করুণাময়ের বর্ণনা পাঠ করতে ভালোবাসি।’ তাই রাসুল (সা.) বললেন, ‘ফিরে যান এবং লোকটিকে বলুন যে এই সুরার প্রতি ভালোবাসার কারণে আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন।’ (বুখারি, মুসলিম)

অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে একবার রাসুল (সা.) শুনলেন এক লোক সুরা ইখলাস পাঠ করছেন। তখন তিনি বললেন, এর জন্য তা আবশ্যক হয়ে গেছে এবং এ কথা তিনি তিনবার বললেন। যখন সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন তিনি কী বলছিলেন, তখন তিনি বললেন, জান্নাত সেই ব্যক্তির জন্য আবশ্যক হয়েছে যে তিলাওয়াত করছে। কত সামান্য একটা ব্যাপার অথচ যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস জানে এবং নিজেকে এতে সোপর্দ করে দেয় তার জন্য জান্নাত ফরজ হয়ে যায়।

সুরা ইখলাসে তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণার পর আল্লাহর সন্তানসন্ততি আছে বলে যে ভ্রান্ত ধারণা করা হয়, তার প্রতিবাদ করা হয়েছে। আল্লাহ সব অভাবের অতীত এবং তাঁর কোনো তুলনা নেই। এই সুরায় আল্লাহর অস্তিত্ব ও সত্তার অনুপম ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কোরআনের অন্যতম ছোট সুরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে এই সুরাকে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরাগ, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস ও খাঁটি আনুগত্য। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়।

সুরা ইখলাসের অর্থ

বলো, তিনি আল্লাহ (যিনি) অদ্বিতীয়।

আল্লাহ সবার নির্ভরস্থল।

তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি।

আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।