বাগেরহাট জেলায় হজরত খান জাহান আলী (র.)–র দরগাহ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ষাট গম্বুজ মসজিদের অবস্থান। লাল পোড়ামাটির উপর লতাপাতার অলংকরণে এর স্থাপত্য মোড়ানো। এর শৈল্পিক সৌন্দর্য মসজিদটিকে বিশেষ স্থান দিয়েছে।
এ মসজিদের ভেতরে ৬০টি স্তম্ভ বা পিলার আছে, স্থানীয় ভাষায় যা খাম্বা নামে পরিচিত ছিল। প্রতি সারিতে ১০টি করে উত্তর থেকে দক্ষিণে ছয়টি সারিতে এই স্তম্ভগুলো দাঁড়ানো। প্রতিটি স্তম্ভই পাথর কেটে বানানো, শুধু পাঁচটি স্তম্ভ বাইরে থেকে ইট দিয়ে ঢেকে দেওয়া। এই ৬০টি স্তম্ভ এবং চারপাশের দেওয়ালের ওপর তৈরি করা হয়েছে গম্বুজ।
মসজিদের নাম ষাট গম্বুজ হলেও এর গম্বুজের সংখ্যা আসলে ৭৭টি। মিনারের চারটি গম্বুজ যুক্ত করলে এর মোট গম্বুজের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮১টিতে।
ষাটগম্বুজ নামকরণ নিয়ে জনশ্রুতি আছে, সাতটি করে সারিবদ্ধ গম্বুজ আছে বলে এ মসজিদের নাম ছিল আসলে সাত গম্বুজ। মানুষের মুখে মুখে ষাট গম্বুজ হয়েছে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, গম্বুজগুলো ৬০টি স্তম্ভের ওপর অবস্থিত বলে ‘ষাট খাম্বা’ কালে কালে ‘ষাটগম্বুজ’ হয়ে উঠেছে।
কীভাবে যাওয়া যায়
বাগেরহাট জেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজিতে করে সহজেই ষাট গম্বুজ মসজিদে যাওয়া যায়।