প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ বা অবশ্য কর্তব্য। এই পাঁচ ওয়াক্ত হলো ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব ও ইশা। নামাজের সময় হলে যে কোনো জায়গায় নামাজ আদায় করা যায়, সে কথা মুসলিম শরিফে বর্ণনা করা হয়েছে।
হজরত আবদুল্লাহ আল আনসারী (রা.)-র বরাতে বলা হয়েছে, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে বর্ণনা করেন যে, ‘তিনি বলেছেন, আমাকে এমন পাঁচটি বিশেষ মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য দান করা হয়েছে যা অন্য কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি, প্রত্যেক নবীকে শুধু তার কওমের জন্য পাঠানো হতো। কিন্তু আমাকে সাদা ও কালো সবার জন্য নবী করে পাঠানো হয়েছে। আমার জন্য গণীমাত বা যুদ্ধলব্ধ অর্থ-সম্পদ হালাল করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমার পূর্বে আর কারও জন্য তা হালাল ছিল না। আমার জন্য গোটা পৃথিবী পবিত্র ও মসজিদ করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং নামাজের সময় হলে যেকোনো লোক যেকোনো স্থানে নামাজ আদায় করে নিতে পারে। আমাকে এক মাসের পথের দূরত্ব পর্যন্ত অত্যন্ত মর্যাদা–সহকারে সাহায্য করা হয়েছে। আর আমাকে ক্ষমার জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশের সুযোগ দান করা হয়েছে।’
নামাজের সময় হলে যেকোনো লোক যেকোনো স্থানে নামাজ আদায় করে নিতে পারে। আমাকে এক মাসের পথের দূরত্ব পর্যন্ত অত্যন্ত মর্যাদা–সহকারে সাহায্য করা হয়েছে। আর আমাকে ক্ষমার জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশের সুযোগ দান করা হয়েছে।’
অন্য হাদিসে আছে কিছু স্থানে নামাজ পড়া যাবে না। অপবিত্র জায়গায় নামাজের জন্য উপযুক্ত নয়। যেমন:
ময়লা-আবর্জনার স্থান বা অন্ধকার কূপ।
কসাইখানা। জবাই করা পশুর রক্ত ও ময়লায় যে স্থান দূষিত ও অপবিত্র।
গোসলখানা। অজু ও পবিত্রতা অর্জনের জন্য নির্ধারিত স্থানে শয়তান আশ্রয় নেয়।