আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে দোয়া করতে হবে। মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি অভিভাবকই নিজ নিজ পরিবারের জন্য দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ কামনা করতে পারেন। কোরআনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দোয়া রয়েছে।
নিজের পরিবারের জন্য দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ কামনা করে দোয়া করতে হয়। প্রিয়জন, সন্তান, স্বামী কিংবা স্ত্রী, যিনিই পরিবারের অভিভাবক, তিনি তাঁর অধীনদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।
আল্লাহ ইচ্ছা করলেন মক্কা নগরীকে জনবসতি ও আবাদ করবেন। হজরত ইব্রাহিম (আ.)–কে তাঁর প্রাণপ্রিয় দুগ্ধপোষ্য শিশু সন্তান হজরত ইসমাইল (আ.) এবং স্ত্রী হজরত হাজেরা (আ.)–কে জনমানবহীন মরুপ্রান্তর রেখে আসার জন্য আল্লাহ নির্দেশ দিলেন। স্ত্রী–সন্তানকে নির্জন মরুভূমিতে রেখে আসার সময় হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন এভাবে, ‘রাব্বানা লিয়ুক্বিমুস সালাতা ফাঝআল আফ-ইদাতাম মিনান নাসি তাহ্ওয়ি ইলাইহিম ওয়ারযুক্ব্হুম মিনাছ ছামারাতি লাআল্লাহুম ইয়াশকুরুন।’
এর অর্থ, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আমার কিছু বংশধরকে তোমার পবিত্র ঘরের কাছে এক অনুর্বর উপত্যকায় বসবাস করালাম। হে আমাদের প্রতিপালক, ওরা যেন নামাজ কায়েম করে। তুমি কিছু লোকের মন ওদের অনুরাগী করে দাও, আর ফলফলাদি দিয়ে ওদের জীবিকার ব্যবস্থা করো, যাতে ওরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।’ (সুরা ইব্রাহিম: আয়াত ৩৭)