নফল আদায়ের মাধ্যমে একজন বান্দা আল্লাহর প্রিয় হয়ে উঠতে থাকেন। নফল ইবাদত প্রকাশ্যে করলে কোনো অসুবিধা নেই, তবে গোপনে করলে উত্তম। এতে উপকার অনেক বেশি।
ফরজ নামাজ আদায় করা আবশ্যক। এটি অতি অবশ্যই আদায় করতেই হবে। ফরজ আবশ্যক এটি পালনে ব্যক্তির ব্যক্তিগত ইচ্ছার কোনো প্রতিফলন ঘটে না। কিন্তু নফল ইবাদত ব্যতিক্রম। নফল শব্দের অর্থই হলো ‘অতিরিক্ত’। অর্থাৎ এটি ফরজের মতো আবশ্যক না হওয়া সত্ত্বেও আমি পড়ছি কেবলমাত্র নিজেরই ইচ্ছায়। আমার উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধান।
আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো, তবে তা ভালো। আর যদি তা গোপনে করো ও অভাবীকে দাও, তবে তা তোমাদের জন্য আরও ভালো। আর এর জন্য তিনি তোমাদের কিছু-কিছু পাপ মোচন করবেন। তোমরা যা করো, আল্লাহ্ তো তা জানেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৭১)
ফরজ নামাজ যে জামাতে মসজিদে পড়তে হয়, এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে নফল নামাজের ক্ষেত্রে নিজ ঘরই সর্বোত্তম। ফরজ ইবাদত প্রকাশ্যে করা সংগত, যদি না যুক্তিসংগত ও অনিবার্য কোনো কারণ থাকে। যেসব ফরজ প্রকাশ্যে আদায় করাই নিয়ম, সেগুলো অবশ্য গোপনে করা যাবে না। যেমন পুরুষদের মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করা।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ফরজ ছাড়া অন্য নামাজ ব্যক্তির নিজ ঘরে আদায় করা উত্তম। (বুখারি শরিফ)
নফল আমল প্রকাশ্যে করার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা তাই বলে নেই। তবে দান যেমন প্রকাশ্যে করার চেয়ে গোপনে করাই সুন্দর, নফলও তেমনই গোপনে আমল করাই উত্তম।