মানুষের স্বভাব-চরিত্র, মেজাজ-মর্জি ও আচরণ বোঝানোর জন্য আরবিতে আখলাক শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দয়া, ক্ষমা, ধৈর্য, বিনয়, সততা, সুন্দর আচরণ মানবচরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাই বলা হয়, তাই উত্তম চরিত্রবানই উত্তম ঈমানদার। আখলাক তিন প্রকার: ১. আখলাকে হাসানা: কেউ জুলুম করলে সমপরিমাণ বদলা নেওয়া। ২. আখলাকে কারিমা: জুলুম করলে তা মাফ করে দেওয়া। ৩. আখলাকে আমিমা: জালেমের জুলুম মাফ করে দেওয়ার পর তার প্রতি ইহসান বা উপকার করা। উত্তম চরিত্রবান ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য রাগ সংবরণ করে ফেলে, সৎ মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করে, মানুষের সঙ্গে কটুবাক্য ব্যবহার করে না।
একবার আশাজ ইবনুল ক্বাইস নামে এক গোত্রপতি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন। রাসুল (সা.) তাঁর প্রশংসা করে বললেন, আশাজ, তোমার মধ্যে দুটি চরিত্র আছে যা আল্লাহ ভালোবাসেন। প্রথমত, তুমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারো। দ্বিতীয়ত, তুমি কোনো কিছু করার আগে ভেবে-চিন্তে কাজটি করো।
আশাজ ইবনুল ক্বাইস তখন প্রশ্ন করলেন, আল্লাহর রাসুল, এই দুটি চরিত্র কি আমি নিজ দক্ষতায় অর্জন করেছি, নাকি আল্লাহ এগুলো আমার মধ্যে দিয়ে দিয়েছেন?
রাসুল (সা.) বললেন, না, আল্লাহ তোমাকে এগুলো দান করেছেন।
আশাজ বললেন, সব প্রশংসা সেই সত্তার যিনি আমাকে দুটি গুণ প্রদান করেছেন যা আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল ভালোবাসেন।
রাসূল (সা.) বলেছেন, সবচেয়ে বেশি সে–ই জিনিসটির জন্য মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে, তা হলো উত্তম চরিত্র।
মুসনাদে আহমাদ গ্রন্থে আছে যে রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তোমাদের মধ্যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বন্টন করেছেন যেভাবে তিনি বন্টন করেছেন তোমাদের রিজিক।