বাঘা শাহি মসজিদ

রাজশাহী বাঘা বাজারের ভেতর দিয়ে চলে গেছে সড়ক। সেখান থেকে উত্তর দিকে মুখ ফেরালেই বাঘা শাহি মসজিদের ১০টি গম্বুজের কয়েকটি দৃশ্যমান হয়। দশ গম্বুজের এই মসজিদে রয়েছে পাঁচটি দরজা। মাঝখানের দরজার ওপরে ফারসি হরফে লেখা একটি শিলালিপি রয়েছে। ছবি তুলেছেন সৈয়দ জাকির হোসেন

রাজশাহী বাঘা বাজারের ভেতর দিয়ে চলে গেছে সড়ক। সেখান থেকে উত্তর দিকে মুখ ফেরালেই বাঘা শাহি মসজিদের ১০টি গম্বুজের কয়েকটি দৃশ্যমান হয়। দশ গম্বুজের এই মসজিদে রয়েছে পাঁচটি দরজা। মাঝখানের দরজার ওপরে ফারসি হরফে লেখা একটি শিলালিপি রয়েছে। চার কোনায় রয়েছে চারটি চৌচালা গম্বুজ, ভেতরে ছয়টি স্তম্ভ, চারটি অপূর্ব কারুকার্যখচিত মেহরাব। এর নকশায় রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী আম, গোলাপ ফুলসহ নানা রকম নকশা। বাংলাদেশের ৫০ টাকার নোট আর ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকিটে দেখা যায় প্রাচীন স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন বাঘা শাহি মসজিদ।

সমতল থেকে ৮ ১০ ফুট উঁচু একটি বেদির ওপরে এই মসজিদ। আঙিনা ঘিরে রয়েছে সীমানাপ্রাচীর। উত্তর ও দক্ষিণ দিকে রয়েছে দুটি প্রবেশপথ। দুপাশেই রয়েছে বিশাল দুটি ফটক। দক্ষিণ পাশের ফটকটি এখনো রয়েছে। সেখানেও কারুকাজ।

১৫২৩-২৪ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান বাংলার স্বাধীন সুলতান নুসরত শাহ এটি নির্মাণ করেছিলেন। এই মসজিদ ঘিরে প্রায় ২৫৬ বিঘা জমির ওপর সুবিশাল দিঘি, আউলিয়াদের মাজার, মূল দরগাহ শরিফ ও জাদুঘর। সবই দর্শনীয়। দিঘির পাড়ে তখন এসে ভিড় করেন বহু দর্শনার্থী।

মাঝখানের দরজার ওপরে ফারসি হরফে লেখা একটি শিলালিপি রয়েছে। চার কোনায় রয়েছে চারটি চৌচালা গম্বুজ, ভেতরে ছয়টি স্তম্ভ, চারটি অপূর্ব কারুকার্যখচিত মেহরাব। এর নকশায় রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী আম, গোলাপ ফুলসহ নানা রকম নকশা।
বাংলাদেশের ৫০ টাকার নোট আর ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকিটে দেখা যায় প্রাচীন স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন বাঘা শাহি মসজিদ।

 কীভাবে যাবেন:

রাজশাহী জেলা শহর থেকে বাঘা মসজিদের দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার । বাঘা উপজেলা সদর থেকে রিকশা অথবা সিএনজিতে মসজিদে যেতে পারবেন।