হাম্মাদিয়া জামে মসজিদ। এর অবস্থান চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের মছজিদ্দা গ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সড়কের পুবপাশে। এর পূর্বদিকে পাহাড়, পশ্চিমে সন্দ্বীপ চ্যানেল। মসজিদটি ১০.৩৭ একর আয়তনের হাম্মাদিয়া দিঘির পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত। পাশেই কবরস্থান।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাম্মাদিয়া মসজিদ সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ শাহের আমলে মসজিদটি নির্মিত। সুলতানি শাসনকর্তা আবদুল হামিদ খান এটি নির্মাণ করেন। তার নামে মসজিদের নাম হয় হামিদিয়া মসজিদ। পরে সেটি রূপান্তরিত হয় হাম্মাদিয়া মসজিদে।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুস শুকুর বলেন, সুলতানি আমলে মসজিদটি নির্মাণের সময় এলাকায় লোকসংখ্যা ছিল কম। বাড়িঘর ছিল দুরে। ফলে দুরের মানুষ এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারত না। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মসজিদটি বনজঙ্গল বেষ্টিত হয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গিয়েছিল। ব্রিটিশ শাসনামলে মসজিদটি আবারও মানুষের নজরে আসে। সে কারণে তখন থেকে মসজিদটির গায়েবি মসজিদ নামেও পরিচিত হয়ে ওঠে।
মসজিদের সামনে লাগানো তথ্য অনুসারে, এর নির্মাণকাল ১৫৩৩ সাল থেকে ১৫৩৮ সালের মধ্যে কোনো এক সময়ে। সে হিসেবে মসজিদটির বয়স দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯০ বছর। এটি এখন চট্টগ্রাম জেলার দ্বিতীয় প্রাচীনতম মসজিদ হিসেবে চিহ্নিত।
চট্টগ্রামের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ হাটহাজারীর ছয় গম্বুজ বিশিষ্ট ফকিরের মসজিদ। সেটির নির্মাণকাল ১৪৭৪ থেকে ১৪৮১ সালের মধ্যে। তখন শাসক ছিলেন সুলতান শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহ।
এক গম্বুজ–বিশিষ্ট এই মসজিদটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের যে কারও চোখে পড়বে।