ঈদে মিলাদুন্নবী

যে ফুলের খুশবুতে সারা জাহান মাতোয়ারা

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)  বা  ফাতেহায়ে দোয়াজ দাহুম হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিন। হিজরি সালের ১২ রবিউল আউয়াল। মুসলিমরা এই দিনটিকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে। ৫৭০ সালের ১২ রবিউল আউয়াল হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরে জন্মগ্রহণ করেন। আবার ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ সালের ১২ রবিউল আউয়াল তারিখেই তিনি ইন্তেকাল করেন। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-কে সংক্ষেপে শুধু মিলাদুন্নবী কিংবা ভাষান্তরে সিরাতুন্নবীও বলা হয়। কখনো ‘ফাতেহায়ে দোয়াজদাহুম’, কখনো ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এবং কখনো ‘সিরাতুন নবী (সা.) নামে। ফাতেহায়ে দোয়াজদাহম কথাটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে। দোয়াজদাহম মানে বারো। ফাতেহায়ে দোয়াজদাহম অর্থ হলো বারো তারিখের ফাতিহা অনুষ্ঠান। কালক্রমে এদিন মিলাদুন নবী (সা.) নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। এর অর্থ হলো নবী (সা.)–এর জন্মানুষ্ঠান। ধীরে ধীরে এর সঙ্গে ‘ঈদ’ শব্দ যোগ হয়ে ‘ঈদে মিলাদুন নবী (সা.)’ রূপ লাভ করে।

আখেরি নবী (সা.)-এর দুনিয়ায় আগমনের দিনটি সারা বিশ্বের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও বরকতময় এবং মানবসভ্যতার সৌভাগ্যের কারণ। তাই বিশ্বনবী (সা.)-এর জন্মদিনটি অত্যন্ত ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সারা দুনিয়ায় পালিত হয়।

আল্লাহ কোরআনে  বলেছেন, ‘আর আমি তোমার স্মরণকে  উচ্চ মর্যাদা দান করেছি।’ (সুরা ইনশিরাহ, আয়াত: ৪)

মক্কার নেতৃত্ব ও কাবা গৃহের হেফাজতের ভার বহুকাল কুরাইশদের হাতে ছিল। বাণিজ্য ছিল কুরাইশদের প্রধান অবলম্বন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) মাতৃগর্ভে থাকতেই তাঁর পিতা আবদুল্লাহ ব্যবসা উপলক্ষে ইয়াসরিব (মদিনা) নগরে মাতুলালয়ে যাওয়ার পর সেখানে মারা যান। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম হলে পিতামহ আবদুল মুত্তালিব এই শিশুর লালন-পালনের ভার গ্রহণ করেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাইফবাসিনী বিবি হালিমার (রা.)  গৃহে থেকে তাঁর স্তন্যপান করেন। চার বছর পর পিতামহের আশ্রয়ে ফিরে আসেন। মুহাম্মদ (সা.)-এর ছয় বছর বয়সে তাঁর মাতা আমিনা তাঁকে ও দাসী উম্মে আয়মান(রা.) কে সঙ্গে নিয়ে মদিনায় তাঁর পিতার মাতুলালয়ে যান। সেখানে এক মাস থেকে মক্কা ফেরার পথে আবওয়া নামক স্থানে আমিনার মৃত্যু হয়। উম্মে আয়মান অসহায় শিশুকে নিয়ে পিতামহের গৃহে ফিরে আসেন।

পিতামহের স্নেহ তিনি বেশি দিন ভোগ করতে পারেননি। তাঁর আট বছর বয়সের সময় পিতামহ তাঁর লালন-পালনের ভার চাচা আবু তালিবের ওপর অর্পণ করে মারা যান। শিক্ষার সুযোগ তাঁর কখনো ঘটেনি। মাঠে মাঠে ছাগ বা মেষপাল চরানো তাঁর একটি কর্তব্য ছিল। তাঁর বয়স যখন ১৩ বছর তখন আবু তালিব ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়া গমন করলে তিনিও তাঁর সঙ্গী হন। ২০ বছর বয়সের সময় মুহাম্মদ (সা.) নিজ বংশের প্রথা অনুযায়ী ব্যবসা আরম্ভ করেন। তাঁর কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততার জন্য মক্কাবাসী তাঁকে ‘আল-আমিন’ অর্থাৎ বিশ্বস্ত আখ্যা দিয়েছিলেন।

মক্কার এক ধনবতী নারী খাদিজা (রা.) তাঁকে তাঁর সঙ্গে ব্যবসা করতে আহ্বান জানান। তিনি এই প্রস্তাবে সম্মত হয়ে বাণিজ্যযাত্রা করেন। এ ব্যবসায় প্রচুর লাভ হয় এবং তিনি তাঁর ভাগে যথেষ্ট অর্থ লাভ করেন। মুহাম্মদ (সা.)-এর গুণপনায় মুগ্ধ হয়ে বিবি খাদিজা (রা.)  তাঁকে বিয়ে করেন। এই সময় তাঁর বয়স ২৫ বছর ও বিবি খাদিজার(রা.)   বয়স ৪০ বছর। এই বিয়ের ফলে বিবি খাদিজা (রা.)   তিন পুত্র ও চার কন্যার জন্ম দেন। পুত্রসন্তানরা শৈশবেই মারা যান।

কাবা গৃহ পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ সংস্থাপনের মর্যাদা লাভের জন্য কুরাইশ গোত্রগুলোর মধ্যে ভীষণ বিবাদ চলতে থাকে। অবশেষে মুহাম্মদ (সা.)-কে সালিস মান্য করা হলে তিনি একটা চাদরের ওপর হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রের নেতাদের বিভিন্ন প্রান্ত ধরে তা যথাস্থানে বহন করার সুযোগ দেন এবং স্বহস্তে প্রাচীরগাত্রে তা স্থাপন করেন। এভাবে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে তিনি বিবাদ নিষ্পত্তি ও রক্তপাত বন্ধ করেন। চার বছরব্যাপী রক্তক্ষয়ী ফিজার যুদ্ধের পর শান্তিরক্ষা, অত্যাচারীর শাসন নিবারণ ও নিপীড়িতের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মক্কায় হিলফুল-ফুজুল নামে যে সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা সংগঠনে তিনি নেতৃস্থানীয়দের একজন ছিলেন। ৪০ বছর বয়সকালে তাঁর কাছে সত্য প্রকাশিত হয়। আল্লাহর দূত জিবরাইল (আ.) তাঁকে লক্ষ্য করে বলে যান যে একমাত্র আল্লাহই সারা জাহানের স্রষ্টা, তিনিই একমাত্র উপাস্য, অন্য কেউ নয়; আর তিনি নিজ আদেশ-উপদেশ শিক্ষা দেওয়ার জন্য মুহাম্মদ (সা.)-কে রাসুল হিসেবে মনোনীত করেছেন। ঘরে ফিরে তিনি স্ত্রীকে এসব কথা জানালেন। বিবি খাদিজা (রা.) তাঁর কথায় বিশ্বাস করে প্রথম মুসলিম হন। এরপর আল্লাহর তরফ থেকে জিবরাইল (আ.) মারফত মাঝেমধ্যে পবিত্র কোরআন মজিদের অংশবিশেষ তাঁর কাছে আসতে থাকে। তিনি গোপনে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে শুরু করেন। রিসালতের প্রথম তিন বছরে প্রায় ৩০ জন লোক ইসলাম গ্রহণ করেন। আলী (রা.), উসমান (রা.) ও আবু উবাইদা(রা.)  তাঁদের অন্তর্গত। চতুর্থ বর্ষে তিনি প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার করতে শুরু করেন। তখন থেকেই ইসলাম ধর্ম ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

পাশাপাশি তাঁর ও তাঁর ধর্মানুসারীদের জীবন নানাভাবে বিপৎসংকুল হতে থাকে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নবুওয়াতের পঞ্চম বর্ষে একদল মুসলিম আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন। মুহাম্মদ (সা.) নানারূপ প্রলোভন ও অকথ্য নির্যাতন নীরবে সহ্য করে মক্কায় থেকে প্রচারকাজ চালাতে থাকেন। নবুওয়াতের ষষ্ঠ বর্ষে রাসুল (সা.)-এর চাচা হামজা ও মক্কার প্রতিপত্তিশালী নেতা ওমর (রা.) ইসলাম গ্রহণ করলে মুসলমানদের মনে সাহসের সঞ্চার হয় এবং তাঁরা প্রকাশ্যে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করতে থাকেন। ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে মুশরিকদের শত্রুতাও বৃদ্ধি পায়। তাদের নির্মম অত্যাচার ও অসহযোগের ফলে মুসলমানরা তিন বছরকাল একটি গিরিসংকটে অবরুদ্ধ থেকে খাদ্য ও পানীয়ের অভাবে নিদারুণ কষ্টে অতিবাহিত করেন। অসহযোগ নীতিতে কোনো ধরনের সুফল না হওয়ায় নবুওয়াতের দশম বর্ষে তা পরিত্যক্ত হয়। এ সময় আবু তালিব ও খাদিজা (রা.)-এর মৃত্যুতে মুহাম্মদ (সা.) বিমর্ষ হয়ে পড়েন এবং মক্কা ছেড়ে তায়েফে ইসলাম প্রচার করতে যান। নবুওয়াতের দ্বাদশ বর্ষে মিরাজ বা ঊর্ধ্বলোকে আরোহণ মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এদিকে অবিশ্বাসীদের অত্যাচার ক্রমেই বাড়তে থাকে। ফলে মুসলমানরা এ সময় ক্রমে ক্রমে পিছিয়ে যেতে থাকেন। শত্রু দলকে নিরাশ করে তিনি রাতের বেলা আবুবকর (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে মদিনায় চলে যান। মদিনায় বহু অধিবাসী আগেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। মদিনাবাসী আনসাররা মক্কার মুহাজিরদের নিজ নিজ গৃহে স্থান দিয়ে তাঁদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ হন। অল্পদিনের মধ্যেই ইহুদি ছাড়া প্রায় সমস্ত মদিনাবাসীই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং তাঁরা রাসুল (সা.)-কে নগরে একমাত্র বিচারক ও শাসনকর্তা হিসেবে মেনে নেন।

তিনি একটি মিত্রতার চুক্তিপত্র সম্পাদনের মাধ্যমে মদিনার অমুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দান করে মুসলিমদের সঙ্গে এক জাতি গঠনের ভিত্তি স্থাপন করেন। মুসলমানরা মক্কা ত্যাগ করলেও মক্কার কুরাইশরা তাদের শত্রুতা ছাড়েনি। মদিনার ইহুদিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তারা মদিনা আক্রমণের আয়োজন করতে থাকে। হিজরি দ্বিতীয় (৬২৪ খ্রি.) বর্ষে মক্কার এক হাজার কুরাইশ অস্ত্রসজ্জিত হয়ে মদিনা আক্রমণ করতে আসেন। মুহাম্মদ (সা.) মাত্র ৩১৩ জন সঙ্গী নিয়ে আক্রমণ প্রতিরোধ করতে অগ্রসর হন। বদর নামক স্থানে ভীষণ যুদ্ধ হয় এবং কুরাইশরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। ১৩ জন মুসলিম শহীদ হন এবং মুশরিকদের পক্ষে ৭০ জন নিহত ও ৭০ জন বন্দী হয়। পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে হিজরি তৃতীয় বর্ষে (৬২৫ খ্রি.) আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে ৩ হাজার কুরাইশ মদিনা আক্রমণ করতে আসে। মদিনার ওহুদ পাহাড়ের পাদদেশে সাত শত মুসলিমের সঙ্গে তাদের ভীষণ যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে বহু মুসলিম শহীদ হন। মুহাম্মদ (সা.) স্বয়ং ভীষণভাবে আহত হন ও প্রস্তরাঘাতে তাঁর একটি দাঁত ভেঙে যায়। শত্রুপক্ষও ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। হিজরি চতুর্থ বর্ষে কুরাইশরা বিভিন্ন আরব গোত্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে মদিনা অবরোধ করে। মদিনার ইহুদিরাও তাদের সাহায্য করে। মুসলমানরা মদিনার চারপাশে খন্দক বা পরিখা খনন করে আত্মরক্ষা করেন। প্রবল ঝড়বৃষ্টি ও শিলা পাতের ফলে শত্রুপক্ষ ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধকে আহজাবের (দলগুলো) বা খন্দকের (পরিখা) যুদ্ধ বলা হয়। হিজরি ষষ্ঠ বর্ষে রাসুল (সা.) পবিত্র কাবা গৃহের ওমরা পালন করার জন্য ১ হাজার পাঁচ শ সাহাবিসহ মক্কার উদ্দেশে রওনা হন। হুদায়বিয়া নামক স্থানে পৌঁছলে মক্কাবাসী তাঁদের বাধা দিয়ে সন্ধি দাবি করে। নিরাপত্তা স্থাপনের ফলে আরবের বিভিন্ন সম্প্রদায় অবাধে মুসলমানদের সঙ্গে মেলামেশা করার সুযোগ পেয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে থাকে। মদিনার ইহুদিরা নানাভাবে শত্রুতা ও বিশ্বাসঘাতকতার জন্য নির্বাসিত হলে খায়বার নামক স্থানে গিয়ে অন্য ক্ষমতাবান ইহুদিদের সঙ্গে মিলে মুসলিমদের ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। মুহাম্মদ (সা.) হিজরি সপ্তম বর্ষে খাওয়ার অভিযানে গিয়ে আটটি অজেয় দুর্গ দখল করেন। হুদায়বিয়ার সন্ধি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।

মক্কার মুশরিকরা মুসলিমদের এক মিত্র গোত্রকে আক্রমণ করে বহু লোককে হত্যা করেন। সন্ধি ভঙ্গ হওয়ায় মুহাম্মদ (সা.) ১০ হাজার সৈন্য নিয়ে মক্কা বিজয়ে অগ্রসর হলে শত্রুদলপতি আবু সুফিয়ান (রা.)  তাঁর বশ্যতা স্বীকার করে ইসলাম গ্রহণ করেন। এইভাবে মক্কার সমস্ত নর-নারী দলে দলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন। যখন সংবাদ এল পার্শ্ববর্তী তাইফ অঞ্চল থেকে মুশরিক সৈন্যরা মুসলমানদের আক্রমণ করতে আসছে, তখন মুহাম্মদ (সা.) ১৪ হাজার সৈন্যসহ হুনাইন নামক স্থানে এক ভীষণ যুদ্ধে শত্রুদলকে পরাস্ত করার পর তিনি মক্কার শাসনভার সেখানকার প্রতিনিধির ওপর ন্যস্ত করে মদিনায় ফিরে আসেন। নবম ও দশম হিজরিতে বিভিন্ন এলাকার বহু প্রতিনিধিদল মদিনায় এসে ইসলাম গ্রহণ করে নিজ নিজ অঞ্চলের সমস্ত লোককে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা দিতে থাকেন। দশম হিজরিতে মুহাম্মদ (সা.) শেষবার হজ পালন করেন। আরাফাত পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে তিনি মুসলমানদের পরস্পরের প্রতি পরস্পরের পবিত্র কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। সব মুসলিম এক ভ্রাতৃসমাজ; নর-নারীর পরস্পরের ওপর সমান অধিকার; দাস-দাসীর প্রতি সদয় ব্যবহার; ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা; পৌত্তলিকতা, নরহত্যা, অত্যাচার, ব্যভিচার, চুরি ও সুদ বর্জন; আল্লাহর কিতাব ও সুন্নত অনুসরণ ও শেষ বিচারের দিনে যাবতীয় কৃতকর্মের হিসাব প্রভৃতি বিষয়ে তিনি উপদেশ দান করেন। বিদায় হজ সম্পাদন করে মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় ফিরে আসেন। হিজরি একাদশ বর্ষে (৬৩২ খ্রি.) ৬৩ বছর বয়সে কয়েক দিন জ্বর ভোগের পর ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার তিনি ইন্তেকাল করেন।

 সূত্র: ‘হজরত মুহাম্মদ (সা.)’, যার যা ধর্ম, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন, ২০১৪