জিকির বা জিকর মানে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা। অন্তরে শুধু আল্লাহর চিন্তা আর মুখে তাঁর পবিত্র নাম উচ্চারণই হলো জিকির। হজরত মোহাম্মদ (সা.) সারাক্ষণ আল্লাহর জিকির করতেন। ইসলামে এটাই জিকির প্রথার ভিত্তি।
সুফিদের মতে, জিকিরই আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভের একমাত্র পথ। জিকিরে বুকের বাঁপাশে অবস্থিত হৃপিণ্ডে আঘাত করা হয়। এভাবেই মানুষের হৃদয় ধীরে ধীরে পবিত্র করে তোলা হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। সব সময় যে ‘আল্লাহ’ শব্দেই জিকির হয়, তা নয়। অনেক সময় আল্লাহর গুণবাচক অন্য নাম এবং কলেমা তৈয়ব ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ বলেও জিকির করা হয়। আল্লাহর কাছে সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণের মধ্যেই নিহিত রয়েছে চিত্তের প্রশান্তি।
কোরআনে আছে, ‘আল্লাহ্ তাঁর নাম স্মরণ করার জন্য যেসব ঘরকে মর্যাদায় উন্নত করেছেন, সেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্র মহিমা ঘোষণা করে সেসব লোক, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কেনাবেচা আল্লাহকে স্মরণ করতে, নামাজ পড়তে ও জাকাত দিতে বিরত রাখে না। তারা ভয় করে সেদিনের যেদিন তাদের অন্তর ও দৃষ্টি ভয়ে বিহ্বল হয়ে পড়বে।’ (সুরা নুর ৩৬-৩৭).
কোরআনে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ করো আর আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব, আমার কাছে তোমরা কৃতজ্ঞ হও, আর কৃতঘ্ন হয়ো না।’ (সুরা বাকারা ১৫২)
আল্লাহর বারবার স্মরণ করলে বান্দার সঙ্গে তাঁর ভালোবাসার বন্ধন সুদৃঢ় হয়।
কোরআনে আছে, ‘আল্লাহ্ তাঁর নাম স্মরণ করার জন্য যেসব ঘরকে মর্যাদায় উন্নত করেছেন, সেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্র মহিমা ঘোষণা করে সেসব লোক, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কেনাবেচা আল্লাহকে স্মরণ করতে, নামাজ পড়তে ও জাকাত দিতে বিরত রাখে না। তারা ভয় করে সেদিনের যেদিন তাদের অন্তর ও দৃষ্টি ভয়ে বিহ্বল হয়ে পড়বে।’ (সুরা নুর ৩৬-৩৭).
কোরআনের ভাষায়, ‘আর তিনি তাঁর পথ দেখান তাদের যারা তাঁর দিকে মুখ ফেরায়, যারা বিশ্বাস করে ও আল্লাহর স্মরণে যাদের চিত্ত প্রশান্ত হয়। জেনে রাখো আল্লাহর স্মরণেই চিত্ত প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাদ ২৮).
কোরআনে আরও বলা হয়েছে, ‘তোমার প্রতিপালককে মনে মনে, বিনয়ে ও ভয়ে, অনুচ্চ স্বরে সকালে ও সন্ধ্যায় স্মরণ করবে এবং তুমি উদাসীন থাকবে না। (সুরা আরাফ ২০৫).
একবার একজন সাহাবি জানতে চাইলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি আমাকে এমন একটা জিনিস শিখিয়ে দিন, যার ওপর আমি রীতিমতো আমল করতে পারি।’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর জিকিরে তোমার জিহ্বা যেন সব সময় তরতাজা থাকে।’