নামাজের জন্য সবাইকে আহ্বান করতে আজান দেওয়া হয়। প্রতি ওয়াক্ত ও জুমার নামাজে যোগ দেওয়ার জন্য আজান দেওয়া হয়। আজান শোনার পর দোয়া পড়তে হয়।
‘আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাতি ওয়াস সালাতিল কায়িমাতি আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাতা ওয়াদ দারজাতার রফিআতা ওয়াবআসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআত্তাহু; ওয়ারজুকনা শাফাআতাহু ইয়াওমাল কিয়ামাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিআদ।’
অর্থ: হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বানের ও স্থায়ী প্রতিষ্ঠিত নামাজের আপনিই প্রভু। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে ওয়াসিলা ও সুমহান মর্যাদা দান করুন এবং তাঁকে ওই প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত করুন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন আর কিয়ামতের দিন তাঁর সুপারিশ আমাদের নসিব করুন; নিশ্চয়ই আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না। আজানের পর দরুদ শরিফ পড়ে এ দোয়া পড়া সুন্নত।
প্রথমে আল্লাহু আকবার, (চারবার) ‘আল্লাহ মহান’, অতঃপর আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, (দুবার) ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই’ , তারপর আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ, (দুবার) ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল’ , তারপর হাইয়া আলাস সালাহ, (দুবার) ‘নামাজের জন্য আসো’ও হাইয়া আলাল ফালাহ, (দুবার) ‘কল্যাণের জন্য আসো’ ; পরিশেষে আল্লাহু আকবার, (দুবার) ‘আল্লাহ মহান’ ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, (একবার) ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই’।
ফজরের নামাজের আজানে পঞ্চম বাক্যের (হাইয়া আলাল ফালাহ) পর বলতে হয়, আস সালাতু খায়রুম মিনান নাওম, (দুবার) ‘ঘুম অপেক্ষা নামাজ উত্তম’ এবং একামতে এই স্থানে বলতে হয় কদ কমাতিস সালাহ, (দুবার) ‘জামাত প্রস্তুত’।