খেরুয়া মসজিদের অবস্থান বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার খন্দকার টোলা এলাকায়। ছবি তুলেছেন সৈয়দ জাকির হোসেন
খেরুয়া মসজিদের অবস্থান বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার খন্দকার টোলা এলাকায়। মসজিদটির দেয়ালে স্থাপন করা শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫৮২ সালে জওহর আলী কাকশালের ছেলে মির্জা মুরাদ খান খেরুয়া মসজিদ নির্মাণ করেছেন। প্রাচীন এই মসজিদে মুসল্লিরা নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। মসজিদের চার কোণে চারটি মিনার। দেয়াল চওড়া। চুন-সুরকি দিয়ে গাঁথা হয়েছে পাতলা ইট। চারটি মিনার ও ছাদের ওপর তিনটি গম্বুজ, পাঁচটি দরজা এবং চারটি তাক রয়েছে। মসজিদটি বাইরের দিক থেকে উত্তর–দক্ষিণে লম্বা।
মসজিদের দেয়ালের গাঁথুনিগুলো অসম্ভব নান্দনিক। মিনার, গম্বুজ, নকশা ও ইটের বৈচিত্র্যময় গাঁথুনিতে গোটা মসজিদ নজর কাড়ে। মসজিদের সামনের অংশের দেয়ালে ফুল ও লতাপাতার খোদাই করা নকশা রয়েছে।
খেরুয়া মসজিদের সামনে একটি মাঠ আছে। আর এর চারপাশ ঘিরে রয়েছে তাল, নারকেল, আম এবং কদমগাছের সারি।
কীভাবে যাওয়া যায়
বগুড়া জেলা শহর থেকে খেরুয়া মসজিদের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। শেরপুর উপজেলা সদর থেকে দূরত্ব ১ কিলোমিটার। শেরপুর সদর উপজেলা থেকে রিকশা, ভ্যান বা সিএনজিতে সহজেই মসজিদে যাওয়া যায়।