কবরের পাশে গিয়ে দোয়া পড়া, কবরস্থ ব্যক্তির মুক্তির জন্য দোয়া করাই জিয়ারতের উদ্দেশ্য। নিজেদের জন্যও দোয়া করা উত্তম।
জিয়ারত শুরু করতে হয় এই বলে, ‘আসসালামু আলাইকুম দারা ক্বাওমিম মুমিনিনা ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লাহিকুন।’ (মুসলিম)
এর পর একে দরুদ শরিফ, সুরা ফাতিহা ও ইখলাস এবং আয়াতুল কুরসি পড়তে হবে।
তারপর মৃত ব্যক্তির রুহের মাগফিরাত বা ক্ষমা প্রার্থনা করে মোনাজাত করতে হবে। কবর জিয়ারতের জন্য কোনো সময়ের বিধিনিষেধ নেই। যেকোনো দিন যেকোনো সময় কবর জিয়ারত করা যায়। তবে জুমার দিন কবর জিয়ারত করলে জিয়ারতকারীর জন্যও তা ক্ষমালাভের কারণ হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি জুমায় তার মা-বাবা বা তাদের একজনের কবর জিয়ারত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে এবং মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারীদের মধ্যে গণ্য করা হবে।’
প্রিয়জন, মা-বাবা ও আত্মীয়স্বজনের কবরের পাশে গেলে মন বিষণ্ন হওয়া বা চোখ অশ্রুসিক্ত হওয়া স্বাভাবিক। তাই বলে কবরের কাছে গিয়ে হা–হুতাশ করা ঠিক নয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর আম্মার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে ক্রন্দন করেন। তাঁর সঙ্গীসাথীরাও অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। তারপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি আমার রবের কাছে আমার মায়ের কবর জিয়ারত করার অনুমতি চাইলে তিনি এর অনুমতি দিয়েছেন। কাজেই তোমরা কবর জিয়ারত করবে। কেননা, তা মৃত্যুকে স্মরণ করিয়ে দেয়।’ (আবু দাউদ) কবর জিয়ারতের দোয়া সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনার কবরবাসীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় যে দোয়াগুলো পড়তেন, তা হলো, ‘আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর; ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিল আছার।
’ এর অর্থ, ‘হে কবরবাসী! তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের আগে তোমরা কবরে গেছ এবং আমরা পরে আসছি।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১,০৫৩) আসসালামু আলাইকুম দার ক্বাওমিম মুউমিনি না ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লাহিকুনা।
অর্থ: মুমিন ঘরবাসীর ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। ইনশা আল্লাহ, আমরা আপনাদের সঙ্গে মিলিত হব। (সহিহ মুসলিম: ২৪৯)
কবরস্থানে পবিত্র হয়ে গিয়ে প্রথমে সালামের উল্লেখসহ দোয়া পড়তে হবে। এ ছাড়া অন্য মুখস্থ সুরা পড়ে কবরবাসীর জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে হবে।