সৌদি আরবের স্থানীয় সময় ১২টায় নানা বর্ণের, গোত্রের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা জুমার নামাজ আদায় করেন। সৌদি আরবে ছুটির দিন। তাই গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মক্কা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে মসজিদুল হারামের উদ্দেশে রওনা হন অনেকে
মসজিদুল হারামে প্রবেশের জন্য ছোট-বড় শতাধিক পথে ছিল কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। প্রতিটি পথে পুলিশ তল্লাশি করেছে। যাঁদের সঙ্গে ব্যাগ ছিল, সেই ব্যাগ পরীক্ষার পর প্রবেশের অনুমতি মিলেছে। যাঁদের সঙ্গে বড় ব্যাগ ও ক্যামেরা ছিল, তাঁদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে বাইরে। কারণ, এসব নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
খুতবা শোনার জন্য মসজিদের বাইরে পর্যাপ্তসংখ্যক মাইক ও সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয়। খুতবায় মক্কা শরিফের মর্যাদা, কাবা শরিফ, হাজরে আসওয়াদ ও জমজমের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে বিশ্বের সব মানুষের জন্য দোয়া করা হয়।
নামাজ শেষে কয়েকজনের জানাজা হয়। পবিত্র হজ পালন করতে এসে প্রিয়জনদের ছেড়ে গেছেন তাঁরা। আবার অন্যদিকে পরম সৌভাগ্যবান যে পবিত্র কাবা শরিফে জুমার নামাজ শেষে লাখো মুসল্লি তাঁদের জানাজায় শরিক হয়েছেন। সমাহিত হবেন পবিত্র মক্কার মাটিতে।
কাবা শরিফ, মাতাফ (তাওয়াফের স্থান), বেজমেন্ট, নিচতলা, একতলা, দোতলা, ছাদ—সব ছিল কানায় কানায় ভরা। কাবা শরিফের আশপাশের রাস্তাও ছিল মুসল্লিতে পূর্ণ। মিসফালা এলাকার (কবুতরের মাঠ) অনেক বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সেসব খালি স্থানেও জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।