ইসলামে অপচয়কে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। নবীজি (সা.) খাবার খাওয়ার সময় আঙুল ও থালা পরিষ্কার করে খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যেন খাবারের কোনো অপচয় না হয়। তিরমিজি শরিফে আবু হুরায়রা (রা.)-র বরাতে বলা হয়েছে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন খায়, তখন (খাওয়া শেষে) সে যেন অবশ্যই আঙুল চেটে খায়, কোন আঙুলে যে রহমত আছে তারা তো জানে না।’
দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির কারণে সবার জীবনে আর্থিক সংকটের চাপ পড়েছে। মিতব্যয়িতা এ রকম সময়ে আমাদের জন্য সহায়ক হয়। অপচয় না করে অতিরিক্ত খাবার অভুক্তকে দেওয়া উত্তম।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়া ইসলামের শিক্ষা। যে জিনিস একান্ত না কিনলেই নয়, তার অতিরিক্ত জিনিস কেনাই অমিতব্যয়িতা।
বাসা বা অফিসসহ সব জায়গায় বিদ্যুতের সীমিত ব্যবহারও মিতব্যয়িতা। আপনার ব্যবহার না করা বিদ্যুৎ অন্যের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে পারে।
অজু, গোসল, কাপড় কাচা ইত্যাদিতেও পরিমাণমতো পানি ব্যবহার করা কর্তব্য। অনেকে দেশলাইয়ের কাঠি বাঁচানোর জন্য বাসা-বাড়িতে গ্যাসের চুলা অনর্থক জ্বালিয়ে রাখেন। কেউ কাপড় শুকিয়ে থাকেন গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে। এসব অপচয় নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে চেষ্টা করি, তাহলে বহু লোকের উপকার হবে। সমাজে বড় একটা পরিবর্তন আসে।
আর্থিক সংকটের সময় নিজেদের রক্ষার জন্য নিয়মিত ইস্তিগফার পড়া যায়। সুরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করা ভালো। ইস্তিগফারের কারণে বিপদ দূর হয় । প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করলে দারিদ্র্য দূরে থাকে।