বদরের যুদ্ধ ক্ষেত্র
বদরের যুদ্ধ ক্ষেত্র

বদর যুদ্ধক্ষেত্রে একটি দিন

ইসলামের এই প্রথম সামরিক যুদ্ধে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমান বাহিনী বিজয়ী হয়। এই বিজয় অন্যদের কাছে এই বার্তা পৌঁছায় যে মুসলমানরা আরবে নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর ফলে নেতা হিসেবে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অবস্থান দৃঢ় হয়।

লেখকের পেছনের এই নাম ফলকে বদরযুদ্ধে শাহাদত বরণকারী সাহাবীদের নাম লেখা রয়েছে

বদরযুদ্ধে যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা সেখানে খোদাই করে রাখা হয়েছে। দেখা গেল, তালিকায় ১৪ জনের নাম রয়েছে। শহীদদের নামফলকের পাথরটির উল্টো দিকেই বদরের যুদ্ধক্ষেত্র। দেয়াল দিয়ে জায়গাটা ঘিরে রাখা।

নাম ‘বিরে শিফা’। এটি ছিল দূষিত ও বিষাক্ত পানির কুয়া। পরে রাসুল (সা.) এখানে থুতু নিক্ষেপ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে এটি সুপেয় পানির কুয়ায় পরিণত হয়। অনেকেই বোতল নিয়ে পানি পান করছে।

বদরের যুদ্ধ হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজে পরিচালনা করেন। আল আরিশ পাহাড়ের পাদদেশে মুসলিম বাহিনীর শিবির স্থাপিত হলো। তাই পানির কুয়াগুলো তাদের আয়ত্তে ছিল। আর নবী করিম (সা.) সৈন্য সমাবেশের জন্য এমন একটি জায়গা বেছে নেন, যেখানে সূর্যোদয়ের পর যুদ্ধ হলে কোনো মুসলমান সৈন্যের চোখে সূর্যকিরণ পড়বে না।

মুসলমানদের বাহিনীর সেনাসংখ্যা ছিল ৩১৩ জন। মুহাজির ছিলেন ৮২ জন, বাকি সবাই আনসার। আওস গোত্রের ৬১ জন এবং খাজরাজ গোত্রের ১৭০ জন। মুসলিমদের উট ও ঘোড়ার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭০টি ও ২টি। যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর ১৪ জন শহীদ হন।

এই যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল নবীজি (সা.)-এর প্রধান শত্রু আবু জাহেলের নিহত হওয়া। এ প্রসঙ্গে দুই কিশোরের অসম সাহসিকতা নিয়ে একটি বীরত্বের কাহিনি প্রচলিত আছে।