আজান নামাজের জন্য আহ্বান। ইসলামে প্রতি ওয়াক্তের ও জুমার নামাজে যোগ দেওয়ার জন্য মুসল্লিদের নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আহ্বান জানানো হয়। পবিত্র কোরআনের সুরা জুমার ৯ আয়াতে অবশ্য ‘আজান’–এর পরিবর্তে ‘নিদা’ (ডাকা) শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
ওই আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে বিশ্বাসীগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহকে মনে রেখে তাড়াতাড়ি করবে ও কেনাবেচা বন্ধ করবে। এই তোমাদের জন্য ভালো, যদি তোমরা বোঝ।’
পবিত্র কোরআনের সুরা মায়িদার ৫৮ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা যখন নামাজের জন্য ডাকো, তখন তারা তাকে হাসি-তামাশা ও খেলার জিনিস বলে নেয়।’
প্রার্থনার জন্য আহ্বান করতে খ্রিষ্টানরা ঘণ্টা বা কাঠের বাজনা ব্যবহার করত। ইহুদিরা শিঙা ফুঁকত। হজরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় আজানের প্রবর্তন করেন। প্রথম মুয়াজ্জিন ছিলেন বিলাল ইবনে রাবাহ (রা.)।
পবিত্র কোরআনের সুরা জুমার ৯ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে বিশ্বাসীগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহকে মনে রেখে তাড়াতাড়ি করবে ও কেনাবেচা বন্ধ করবে। এই তোমাদের জন্য ভালো, যদি তোমরা বোঝ।’
ইসলাম ধর্মে প্রতিদিন পাঁচবার নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়। আজান সাধারণত নামাজের আগে দেওয়া হয় মসজিদের ছাদ, দরজা বা বিশেষভাবে নির্মিত সুউচ্চ মিনার থেকে। আজকাল মাইক্রোফোন ব্যবহার করে মুয়াজ্জিন মসজিদের ভেতর থেকে আজান দেন। লাউড স্পিকার ছাদে বা মিনারে স্থাপিত থাকে।
আজানে ‘আল্লাহু আকবার’ চারবার, ‘আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ দুবার, ‘আশহাদু আন্না মোহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ’ দুবার, ‘হাইয়া আলাস্ সালাহ’ দুবার, ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ দুবার, পুনরায় ‘আল্লাহু আকবার’ দুবার ও পরিশেষে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ একবার উচ্চারিত হয়।
ফজরের নামাজের আজানে ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’র পর ‘আস্ সালাতু খাইরুম মিনান নাউম’ দুবার বলা হয়। আবার ঠিক ফরজ নামাজের আগে ইমামের পেছনে দাঁড়ানো মুয়াজ্জিন পুনরায় আজান দেন, যাকে আকামত বলা হয়। আকামতে ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’র পর ‘কাদকামাতিস সালাহ’ বলা হয় দুবার।
আজান শুনলে শ্রোতা আজানের শব্দ মনে মনে বলবেন। ‘হাইয়া আলাস্ সালাহ’ ও ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’র পরিবর্তে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলবেন।
সূত্র: ‘আজান’, যার যা ধর্ম, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন, ২০১৪