এক রোগীর ছোঁয়ায় আরেকজনের দেহে সংক্রমিত রোগকে আমরা বলি ছোঁয়াচে রোগ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ছোঁয়াচে কোনো রোগ নেই। তখন এক গ্রাম্য সাহাবি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমরা তো দেখি, একটা পাঁচড়াযুক্ত উট যখন কোনো পালে থাকে, তখন পুরো উটের পালে পাঁচড়ায় আক্রান্ত করে দেয়? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, এই হলো ভাগ্য, বলো, প্রথমটির পাঁচড়া হলো কীভাবে? (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৮৬)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বুঝিয়েছেন, প্রথম উটটিকে যিনি পাঁচড়ায় আক্রান্ত করেছেন, তিনিই অন্যগুলোকেও এ রোগ দিয়েছেন। যেকোনো প্রকার রোগ হোক, তা কেবল আল্লাহর হুকুমে কাউকে আক্রান্ত করতে পারে কিন্তু এখানেও একই কথা, আল্লাহ কিছু রোগকে সংক্রামক করে দিয়েছেন। আল্লাহর এই সংক্রমণ শক্তির কারণেই এক রোগী থেকে আরেক রোগীতে তা সংক্রমিত হয়।
আরেকটি হাদিসে আছে, কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি সিংহ থেকে দূরে থাক। (বুখারি, হাদিস: ৫৭০৭) এই হাদিসটি আমাদের সচেতনতার শিক্ষা দেয়। সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা শেখায়।
আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা বিশ্বাসীদের অপরিহার্য অংশ। তবে ইসলাম একটি যুক্তিপূর্ণ ধর্ম। সে কারণে আল্লাহর নামে অযৌক্তিক কাজ করলে চলে না। কারণ আল্লাহ আমাদের বুদ্ধি–বিবেচনা দিয়ে আশরাফুল মখলুকাত হিসেবে পয়দা করেছেন। আল্লাহ ভরসা বলে স্বেচ্ছায় আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়া তো আর ইসলামের শিক্ষা নয়। ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো সচেতনতা।