বরগুনার বিবিচিনি শাহি মসজিদ
বরগুনার বিবিচিনি শাহি মসজিদ

বরগুনার নান্দনিক বিবিচিনি মসজিদ

বরগুনার বিবিচিনি শাহি মসজিদ প্রায় সাড়ে তিন শ বছরের পুরোনো। মসজিদটির স্থাপত্যরীতিতে মোগল ভাবধারার ছাপ মূর্ত হয়ে ওঠে। বরগুনার বেতাগী উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বিবিচিনি ইউনিয়নে এই মসজিদ অবস্থিত। স্থানীয় লোকজন জানান, মসজিদটি দেখতে বছরজুড়ে এখানে আসেন পর্যটক ও দর্শনার্থীরা।

দিল্লিতে আসার তিন–চার বছরের মাথায় ১৬৫৯ সালে শাহ সুজার আগ্রহে কয়েকজন শিষ্য সঙ্গে নিয়ে নেয়ামত উল্লাহ আসেন বেতাগীর এই গ্রামে। তখন এই গ্রামের নাম বিবিচিনি ছিল না। পরে শাহ সুজার অনুরোধে এই গ্রামেই তিনি এক গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ নির্মাণ করেন। শাহ নেয়ামত উল্লাহর মেয়ে চিনিবিবির নামানুসারে এই গ্রামের নামকরণ করা হয় বিবিচিনি।
বরগুনার বিবিচিনি শাহি মসজিদ

মসজিদটির অবস্থান প্রায় ৪০ ফুট সুউচ্চ টিলার ওপর। বর্গাকার মসজিদটির দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ৪০ ফুট করে। চারপাশের দেয়াল ছয় ফুট আট ইঞ্চি চওড়া। উত্তর ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে খিলান আকৃতির প্রবেশপথ। মসজিদের ইট ধূসর বর্ণের। বর্তমান যুগের ইটের চেয়ে এর আকৃতি একেবারে আলাদা। দর্শনার্থী ও নামাজিদের ওঠানামার জন্য মসজিদের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে সিঁড়ি রয়েছে।

বরগুনার বিবিচিনি শাহি মসজিদ

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি পারস্য থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য দিল্লিতে আসেন হজরত শাহ নেয়ামত উল্লাহ নামের এক সাধক। ওই সময় মোগল সম্রাট শাহজাহানের ছেলে বঙ্গ দেশের সুবাদার শাহ সুজা এই সাধকের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। দিল্লিতে আসার তিন–চার বছরের মাথায় ১৬৫৯ সালে শাহ সুজার আগ্রহে কয়েকজন শিষ্য সঙ্গে নিয়ে নেয়ামত উল্লাহ আসেন বেতাগীর এই গ্রামে। তখন এই গ্রামের নাম বিবিচিনি ছিল না। পরে শাহ সুজার অনুরোধে এই গ্রামেই তিনি এক গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ নির্মাণ করেন। শাহ নেয়ামত উল্লাহর মেয়ে চিনিবিবির নামানুসারে এই গ্রামের নামকরণ করা হয় বিবিচিনি। সেই নাম অনুসারে মসজিদটি বিবিচিনি মসজিদ নামে পরিচিতি পায়।