তালেব উদ্দিন সরকার জামে মসজিদ,নীলফামারী
তালেব উদ্দিন সরকার জামে মসজিদ,নীলফামারী

মসজিদের উঁচু মিনার দৃষ্টিনন্দন

প্রত্যন্ত গ্রাম। গ্রামটির নাম জুম্মাপাড়া খোর্দ্দ বোতলাগাড়ী। অনেক দূর থেকে দেখা যায় ওই গ্রামে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদের মিনার। সূর্যের আলোকচ্ছটায় ঝলমল করছে মিনারের স্বর্ণালি অগ্রভাগ। বিশাল একটি মসজিদ গড়ে উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ওই গ্রামে। মসজিদটির নাম তালেব উদ্দিন সরকার জামে মসজিদ। পূর্বসূরির স্মৃতি ধরে রাখতে গড়ে তোলা হয়েছে মসজিদটি।

মসজিদের ভেতরে

গত ৩১ জানুয়ারি সৈয়দপুর শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জুম্মাপাড়ায় সরেজমিন দেখা গেল, আধুনিক স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন ওই মসজিদটি। প্রায় আড়াই একর জমির ওপর স্থাপনা। সফেদ মসজিদটিতে স্বর্ণালি কারুকাজ, সামনে ফুলের বাগান। মসজিদে প্রবেশ করে দেখা গেল, সোনালি মিম্বার।

পশ্চিমের দেয়াল স্বর্ণালি, মেঝেতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের মার্বেল পাথর। সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত দ্বিতল মসজিদের সিলিংয়ে ঝুলছে আধুনিক ঝাড়বাতি। মসজিদের উত্তর পাশে রয়েছে সুন্দর করে সাজানো অজুখানা। অজুখানার মাঝখানে শোভা বাড়াতে স্থাপন করা হয়েছে শাপলা ফুলের প্রতিরূপ। আছে ঝরনা ও ঝাড়বাতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মসজিদটি স্থাপন করা হয় ১৯৫৩ সালে। তালেব উদ্দিন সরকার এর প্রতিষ্ঠাতা। মা-বাবার স্মৃতি ধরে রাখতে তালেব উদ্দিন সরকারের ছেলে-মেয়েরা নতুন করে গড়ে তোলেন ওই মসজিদটি। মসজিদটির নকশা করেন স্থপতি মুশফিকুর রহমান। মসজিদের পেছনে রয়েছে পারিবারিক কবরস্থান। এই মসজিদে আড়াই হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারেন।

তালেব উদ্দিন সরকার জামে মসজিদ, নীলফামারী

মসজিদটির দুটি মিনার রয়েছে। এর মধ্যে একটি মিনারের উচ্চতা ৮১ ফুট। মসজিদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সাইদুর রহমান সরকারের বলেন, মা-বাবার স্মৃতিকে ধরে রাখতে পারিবারিক সিদ্ধান্তে মসজিদটি আধুনিকতার ছোঁয়ায় পুনর্নির্মাণ করেছি। মসজিদের পাশে তিন তলাবিশিষ্ট একটি মাদ্রাসা কমপ্লেক্সও নির্মাণ করা হচ্ছে। মায়ের নামে মাদ্রাসাটির নামকরণ করা হয়েছে সাজেদা খাতুন হাফেজিয়া মাদ্রাসা।
জুম্মাপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাসান আলী (৬৫) জানান, ‘এমন সুন্দর মসজিদ নীলফামারী জেলায় আর একটিও নাই। মসজিদটিতে নামাজ আদায় করতে ও দেখতে বহুদূর থেকে লোকজন আসছেন। আমাদের ভালো লাগে এই দৃশ্য দেখে। শুভ্র সফেদ মসজিদটি দেখলে মন জড়িয়ে যায়।’