রোজা রাখার কারণে বিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে অজস্র পুরস্কার। রোজা রাখার পুরস্কার সম্পর্কে কিছু জেনে নিই।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রোজা এমন এক ঢাল, যার বান্দাকে জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা করবে।’ আরেকটি হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে সত্তর বছরের দূরত্বে সরিয়ে নেবেন।’ (বুখারি ২৮৪০)
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হে যুবক সম্প্রদায়, তোমাদের মধ্যে যার বিয়ের সামর্থ্য আছে, সে যেন বিয়ে করে নেয়। কেননা তা নজর ও যৌনাঙ্গকে অধিক সংযত ও সুরক্ষিত রাখে। আর যার সামর্থ্য নেই, সে যেন রোজা রাখে। কেননা রোজা তার জন্য যৌনতা দমনকারী।’ (বুখারি ৫০৬৬)
আবু উমামা (রা.) বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমাকে এমন একটি কাজের আদেশ করুন, যার মাধ্যমে আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন। নবীজি (সা.) তাকে বলেন-‘তুমি রোজা রাখো। কেননা এর কোনো তুলনা চলে না।’
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে।’ রোজা বলবে, হে আমার রব, আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও যৌনসম্ভোগ থেকে বিরত রেখেছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। কোরআন বলবে, হে আমার রব, আমি তাকে রাত্রিকালে ঘুম থেকে দূরে রেখেছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। নবীজি (সা.) বলেন, অতঃপর তাদের উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে।’
হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখবে, তার পূর্বের সব ছোট গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি ৩৮)
নবীজি (সা.) বলেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি খুশি-একটি ইফতারের সময়, অপরটি তার রবের সাক্ষাৎ লাভের সময়।’ (বুখারি, ১৯০৪)