প্রধানত বাইবেলের ব্যাখ্যাকে ভিত্তি করেই খ্রিষ্টানরা প্রটেস্ট্যান্ট ও রোমান ক্যাথলিক—এই দুই সম্প্রদায়ে বিভক্ত। প্রটেস্ট্যান্টদের মতে, বাইবেলের ব্যাখ্যার ব্যাপারে ব্যক্তিস্বাধীনতা স্বীকৃত; রোমান ক্যাথলিক মতে, শুধু যাজক সম্প্রদায়ের ব্যাখ্যার আলোকেই জনসাধারণ তা পাঠ করার অধিকারী
সেন্ট জেরোমের ভালগেট লাতিন ভাষায় সমগ্র বাইবেলের প্রথম বিখ্যাত অনুবাদগ্রন্থ। লাতিন ভাষায় পাঠ্যাংশ-সংবলিত বাইবেলই প্রথম মুদ্রিত পুস্তক। অনুমোদিত অনুবাদ অর্থাৎ ল্যানসেলট অ্যান্ড্রুজের নেতৃত্বে পরিচালিত এক যাজক কমিটি কৃত রাজা জেমসের (আমলের) অনুবাদগ্রন্থই (১৬১১) বাইবেলের শ্রেষ্ঠ ইংরেজি অনুবাদ; ঊনবিংশ শতকে ইংল্যান্ডের যাজক সম্প্রদায় কর্তৃক অনুমোদিত অনুবাদ পূর্বের অনুবাদের ভাষা থেকে সংশোধিত হয়ে 'সংশোধিত ইংরেজি অনুবাদ' ও 'সংশোধিত মার্কিন অনুবাদ' রূপে প্রকাশিত হয়।
ইংরেজি ছাড়া অন্যান্য সাহিত্যের ইতিহাসেও বাইবেলের অনুবাদ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যথা- আধুনিক জার্মান ভাষার উন্নয়নে মার্টিন লুথারের অনুবাদের মূল্য অত্যন্ত বেশি। বিংশ শতকে মার্কিন বাইবেল-পণ্ডিতেরা একযোগে ‘সংশোধিত আদর্শ অনুবাদ' প্রস্তুত করেন বহু চার্চ কর্তৃক এটা অবিলম্বে গৃহীত হয়েছে।
উইলিয়াম কেরি বাংলায় প্রথম বাইবেল অনুবাদ করেন। ১৮০১-৪৫ সময় পরিসরে শ্রীরামপুর প্রেস থেকে এই অনুবাদ ‘ধর্মপুস্তক' (৫ খণ্ড) নামে প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে বাইবেলের একাধিক অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ ভাষায় বাইবেল অনূদিত ও পঠিত ।
সূত্র: ‘বাইবেল’, যার যা ধর্ম, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন, ২০১৪