ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভারত সীমান্ত অভিমুখে আগামীকাল বুধবার সকাল ৯টায় ‘লংমার্চ’ শুরু করবে বিএনপির তিন সংগঠন—যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। একই সঙ্গে তিনটি সমাবেশও করা হবে। তবে এই কর্মসূচিতে বিএনপির কেউ থাকবে না।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননাসহ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। গত সোমবার যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে এই লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠন তিনটি।
এই কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, আগামীকাল সকাল ৮টায় তিন সংগঠনের নেতারা-কর্মীরা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হবেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে সকাল ৯টায় লংমার্চ শুরু হবে। কর্মসূচিতে তিন জায়গায় সমাবেশ হবে। ঢাকার নয়াপল্টনের পর পথে ভৈরবে সমাবেশ হবে এবং শেষে আখাউড়ায় স্থলবন্দর মাঠে সমাবেশের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শেষ হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সড়কপথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও নরসিংদী জেলা হয়ে সন্ধ্যা নাগাদ লংমার্চ আখাউড়া সীমান্তে পৌঁছাবে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি লংমার্চে বিপুল উপস্থিতি হবে। সারা দেশ থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা লংমার্চে অংশ নেবেন।’
লংমার্চে সীমান্ত হত্যা, ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচার, অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা না দেওয়া, পতিত ফ্যাসিবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া, সেখানে অপতৎপরতা চালানোর সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিবাদ জানানো হবে। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, লংমার্চ কর্মসূচিতে বিএনপি সরাসরি সম্পৃক্ত হচ্ছে না। তাই নয়াপল্টনে, ভৈরবে বা আখাউড়ায় স্থলবন্দর মাঠের সমাবেশে বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতা বক্তব্য দেবেন না।
লংমার্চ কর্মসূচিতে যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এবং ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনসহ তিন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে ওই তিন সংগঠন ভারতীয় আগ্রাসন ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য-সন্ত্রাসের প্রতিবাদে গত রোববার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেয়।