আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদের আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়ানোর কথা দলটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।এদিকে, দলটির নতুন আহ্বায়ক করা হয়েছে মেজর (অব.) আব্দুল ওহাবকে।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার এবি পার্টির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (এনইসি) জরুরি এক সভায় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনারকে পার্টির আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়।
সোলায়মান চৌধুরী ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দল থেকে পদত্যাগ করেন বলে এবি পার্টির সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে, দল পদত্যাগের পরপরই সোলায়মান চৌধুরী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদের আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হতে হলে ব্যক্তির রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পরিহার করতে হয়। এবি পার্টির গঠনতন্ত্রেও কোনো নেতার একইসঙ্গে দলীয় পদ ও সরকারি দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই; তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়।
সম্প্রতি দলটির নেতা তাজুল ইসলামের দল থেকে পদত্যাগ করে সরকারি দায়িত্ব নেওয়ার ঘটনাও উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয় এবি পার্টির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। এতে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহ আগে এবি পার্টির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলামও দল থেকে পদত্যাগ করেন এবং এরপর তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত পান।
অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান সোলায়মান চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও মজিবুর রহমান মঞ্জুকে সদস্যসচিব করে এবি পার্টি আত্মপ্রকাশ করেছিল ২০২০ সালের মে মাসে।
সোলায়মান চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এবি পির্টি থেকে পদত্যাগ করেন। এরপরই গত রাতে দলটির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। সেই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মেজর (অব.) আব্দুল ওহাবকে দলের নতুন আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয় বলে সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তিনি দলটির প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি পেশায় একজন মনোরোগবিশেষজ্ঞ এবং একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কাউন্সিল সভায় দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, জাহাঙ্গীর কাসেম, এম হারুনুর রশীদ, বি এম নাজমুল হক, লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার খান আজম, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন রানাসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।