বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বর্তমানে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই তারা একটি নির্বাহী কমিটি করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিও চলতি মাসের মধ্যে বর্ধিত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে। এ ছাড়া কাজের সুবিধার জন্য চলতি মাসের মধ্যে সাংগঠনিক টিম বা সেল গঠন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর দিলু রোডের রূপায়ন টাওয়ারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের ১৫৮ জন সাবেক সমন্বয়কের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিকেল থেকে কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এই সভা ডাকা হয়েছিল চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা, আসন্ন কর্মসূচির রূপরেখা নির্ধারণ এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সংগঠকদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর লক্ষ্যে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে টানা আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলন একপর্যায়ে গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ছাত্র–জনতার সেই অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। আন্দোলন পরিচালনায় ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়।
গত ২২ অক্টোবর সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়। এই কমিটি দিয়েই এখন সংগঠনটির কার্যক্রম চলছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইতিমধ্যে সারা দেশে সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তৃত করা শুরু করেছে।
অভ্যুত্থানের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে গতকাল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিলুপ্ত সমন্বয়ক টিমের সবাইকে নিয়ে সভা আহ্বান করেন আবদুল হান্নান মাসউদ। সভা শেষে সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, সমন্বয়ক কমিটিতে থাকা ১৫৮ জনকে নিয়ে বসা হয়েছিল। নানা বিতর্ক কিংবা সামনে কমিটি কীভাবে চলবে, এসব বিষয়ে সবাই মতামত দিয়েছেন। এ জন্য দীর্ঘ সময় ধরে সভা চলেছে।